স্বাস্থ্য দফতরের পদযাত্রা। মঙ্গলবার মেদিনীপুরে। — নিজস্ব চিত্র।
চক্ষুদানে উৎসাহ বাড়াতে মেদিনীপুরে এক পদযাত্রা হল মঙ্গলবার। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে পদযাত্রার পাশাপাশি আলোচনাসভাও হয়। ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা, উপ- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী, রবীন্দ্রনাথ প্রধান প্রমুখ।
এখন জাতীয় চক্ষুদান পক্ষ উদ্যাপন চলছে। সেই উপলক্ষ্যেই এই আয়োজন। এ দিন সকালে মেদিনীপুরে জেলা পরিষদের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। নার্সিং ছাত্রী, স্বাস্থ্যকর্মীরা পা মেলান।
জেলার স্বাস্থ্য-কর্তাদের বক্তব্য, মৃত্যুর ৬-৮ ঘন্টার মধ্যে মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে চোখ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট দ্রবণে সংরক্ষিত করে চক্ষু ব্যাঙ্কে জমা রেখে ৭২ ঘন্টার মধ্যে কর্নিয়া গ্রাফটিং কেন্দ্রে প্রতিস্থাপন করলে দু’জনে দৃষ্টি ফেরানো সম্ভব। সারা দেশে কর্নিয়া জনিত সমস্যায় দৃষ্টিহীনের সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ। এদের মধ্যে বেশিরভাগই অল্পবয়সী। যারা আঘাত, সংক্রমণ, অপুষ্টি, জন্মগত ত্রুটির জন্য দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। এর সঠিক চিকিৎসা হল কর্নিয়া প্রতিস্থাপন।
প্রতি বছর দেশে প্রায় ৫০ হাজার চোখ সংগৃহীত হয়, অথচ প্রয়োজন ১২ লক্ষ। জেলার এক স্বাস্থ্য-কর্তার কথায়, “মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে এখনও সকলের মধ্যে সমান সচেনতা গড়ে ওঠেনি। ফলে, কর্ণিয়া জনিত কারণে অন্ধ মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেখা গিয়েছে, মৃত্যুর পর আমাদের দেশের ১ শতাংশ মানুষও যদি চোখ দান করেন, তাহলে কর্ণিয়া জনিত অন্ধত্ব নিবারণ হবে। কিন্তু, চোখ দানের হার .৫ শতাংশের নীচে। তাই সর্বস্তরে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।’’