কর্মীদের আন্দোলনে রবিবারও অচল রইল খড়্গপুরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কারখানার ডিজেল শপ। এখানকার তিনজন কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্তের প্রতিবাদেই শুরু হয়েছে লাগাতার কর্মবিরতি। তবে এ দিন ডিজেল শপের কর্মীদের এই আন্দোলন থেকে সরে গিয়েছেন রেলের মেনস্ কংগ্রেসের কারখানা শাখার আহ্বায়ক কোটেশ্বর নায়ডু। তবে তিনি ডিজেল শপে এসে কর্মীদের কাজে যোগ দিতে বললেও কর্মীরা টলানো যায়নি। তাঁরা আরও সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সর্বদলীয় ফোরামের সঙ্গে চিফ ওয়ার্কস ম্যানেজারের (সিডব্লিউএম) দেখা করার অনুমতি মিলেছে। কাল, মঙ্গলবার সিডব্লিউএমের সঙ্গে বৈঠক হবে। এই ফোরামের মধ্যে থেকেই তৃণমূলের রেলের শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সিডব্লিউএমের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। তবে ওই সংগঠন স্বীকৃত না হওয়ায় অনুমতি মেলেনি।
ডিজেল শপের ক্যান্টিনের নানা অভিযোগ নিয়ে ঘেরাও-বিক্ষোভের জেরেই ‘রিমুভ ফ্রম সার্ভিস’ করা হয়েছে তিন কর্মীকে। তার বিরুদ্ধে শনিবার থেকে আন্দোলনে নেমেছেন ডিজেল শপের কর্মীরা। রেলের মেনস্ ইউনিয়নের নেতৃত্বে সব কর্মী সংগঠনগুলিকে নিয়ে আন্দোলনের জন্য সর্বদল বৈঠকও ডাকা হয়। শনিবার রাত পর্যন্ত সেই বৈঠকে অবশ্য ছিলেন না রেলের মেনস্ কংগ্রেসের কারখানা শাখার আহ্বায়ক কোটেশ্বর নায়ডু। তারপর এ দিন সকালে ডিজেল শপে এসে তিনি সব কর্মীকে কাজে যোগ দিতে বলেন। কেন হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল? কোটেশ্বরের জবাব, “কর্মবিরতি করলে কর্মীরা সমস্যায় পড়বেন। পরে হয়তো ডিজেল শপ লক আউট হয়ে যাবে। তার দায় কে নেবে। তাই আমি এই কর্মবিরতি থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছি।”
ডিজেল শপের কর্মীরা অবশ্য আন্দোলনের সিদ্ধান্তে অবিচল। সুমন্ত চৌধুরী নামে এক কর্মী বলেন, “কোটেশ্বর নায়ডুর এ ভাবে কাজে যোগ দিতে বলার বিষয়টি কর্মীরা কেউ মেনে নিতে পারেনি। আমাদের তিন সহকর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গেও যে এমনটা হবে না, তা কে বলতে পারে। তাই সকলে এক হয়ে আন্দোলন চালাচ্ছি।” কোটেশ্বরের এ ভাবে পিছিয়ে আসার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি মেনস্ ইউনিয়নও। সংগঠনের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক অজিত ঘোষাল বলেন, “মেনস্ কংগ্রেসের পক্ষে কোটেশ্বর নায়ডু আমাদের এই আন্দোলনের সমর্থন তুলে নিলেও আন্দোলন চলবে। আমরা জয়েন্ট ফোরাম গড়ে সিডব্লিউএমের সঙ্গে দেখা করব। তারপরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। প্রয়োজনে পুরো কারখানায় ‘টুল ডাউন’ হবে।”