মঞ্চে চলছে বচসা। নিজস্ব চিত্র
সভা শুরু হতে খানিকটা সময় বাকি। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বা বঙ্গ বিজেপির কেউ এসে পৌঁছননি সভাস্থলে। এমন সময়েই সভামঞ্চে আসন ‘দখল’ নিয়ে বিজেপি’র দু’পক্ষকে বচসা এবং হাতাহাতি করতে দেখা গেল।
শনিবার বিকেলে রামনগরে বিজেপির ‘যোগদান মেলা’ কর্মসূচি ছিল। রামনগর স্টেশন সংলগ্ন মাঠের সভামঞ্চে এ দিন এমন ‘অপ্রীতিকর’ অবস্থা দর্শকাসনে থাকা সকলেরই চোখে পড়ে। নব্য এবং পুরাতন বিজেপি কর্মীদের মধ্যে কারা মঞ্চের উপরে থাকবেন এবং কারা নেতৃত্বদের বরণ করবেন, তা নিয়ে কিছুক্ষণ ধরে চলে বচসা। পরে সভামঞ্চেই দুই গোষ্ঠীর হুলুস্থূল কাণ্ডে চরম অস্বস্তিতে পড়ে সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এক সময় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ওই ছবি ক্যামেরাবন্দি না করার জন্যও অনুরোধ করা হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে, সভামঞ্চের উপরে বাকবিতণ্ডার শব্দ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য জোরে মাইকে গান বাজানো শুরু হয়।
এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসক দল। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘ওটা কোনও মেগা যোগদান মেলা নয়। ওটা আসলে মেগা ফ্লপ শো। নির্বাচনের আগেই ওদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এদিনের সভায়। যা সাধারণ মানুষ চাক্ষুষ করেছে।’’ মঞ্চে সমস্যা হয়েছিল, তা মানছেন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী। তবে হাতাহাতির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘সংগঠকেরা সকলেই দিনরাত পরিশ্রম করে এ দিনের কর্মসূচি সফল করেছেন। অনেকেই চেয়েছিলেন নেতৃত্বদের বরণ করতে। তবে এটা নিয়ে হাতাহাতি কিছু হয়নি।’’