সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি নিজস্ব চিত্র
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অনেক সমুদ্র বাঁধের অবস্থা ভাল নয়। সেই সব বাঁধের পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদে একটি বৈঠক হয়। সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর-সহ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ররা। বৈঠকেই জানা যায় একাধিক জায়গায় সমুদ্র বাঁধের ক্ষত পুরোপুরি সারানো যায়নি। মঙ্গলবার রাত ১০টার মধ্যেই সমুদ্র বাঁধের বিপজ্জনক জায়গাগুলি চিহ্নিত করে দ্রুত সেগুলি মেরামত করতে তৎপরতা শুরু করেছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ-সহ সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ররা।
কিন্তু কেন এই ক্ষত রয়ে গিয়েছে? মৎস্য মন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল জানিয়েছেন, এই সমস্যার মূল কারণ সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি। অখিল বলেন, করোনার কারণে ওড়িশা প্রশাসন কড়াকড়ি করেছে। বহু ক্ষেত্রে ওড়িশা হয়ে বাংলায় আসা পাথরবোঝাই গাড়ি বিভিন্ন সময় আটকে দেওয়া হয়েছে। কখনও আবার বাংলা-ওড়িশা বর্ডার এলাকার যাতায়াতের মূল রাস্তা বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে ইয়াসের মোকাবিলা করতে প্রশাসন তৈরি বলেই জানিয়েছেন মৎস্য মন্ত্রী। বাঁধ টপকে জল ঢুকলেও তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেরিয়ে যায় বলে জানান তিনি। বলেন, কোথাও সমুদ্র বাঁধ যাতে ভেঙে না যায় তা নিশ্চিত করতেই শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।