মেচগ্রামে জাতীয় সড়ক অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।
গত ১৪ অগস্ট রাতে পূর্ব বর্ধমানের নান্দুরে প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা(২৫) নামে এক আদিবাসী তরুণী খুন হন। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি কেউ। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার মূল অভিযুক্তের মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন পাওয়া যায় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া এলাকায়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর আবার মোবাইলটি বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশকে বোকা বানাতেই কি পাঁশকুড়া এলাকার রেল লাইনের ধারে মোবাইল ফেলে পালিয়েছে অভিযুক্ত? উঠছে সেই প্রশ্ন। প্রিয়াঙ্কা খুনে জড়িত অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতারিরর দাবিতে মঙ্গলবার সকালে মেচগ্রামে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আদিবাসীদের সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। দাবি উঠল আর জি কর কাণ্ডের সুবিচারেরও।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ১৪ অগস্ট রাজ্যজুড়ে রাত দখলের কর্মসূচি নিয়েছিল মহিলারা। সেই রাতেই নিজের বাড়ির অদূরে খুন হন পূর্ব বর্ধমানের নান্দুরে তরুণী প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা। প্রিয়াঙ্কার গলার নলি কেটে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। অজয় টুডু নামে প্রিয়াঙ্কার এক পূর্ব পরিচিতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠে। অজয়ের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা এলাকায়। খুনের পর প্রিয়াঙ্কার মোবাইলটি অভিযুক্ত নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। প্রিয়াঙ্কা খুনের তদন্তে 'সিট' গঠন করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার সাত দিন পরও অধরা অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিন দু'য়েক আগে পাঁশকুড়া এলাকায় রেল লাইনের ধারে অভিযুক্তের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যায়। তার পরই বিশেষ তদন্তকারীদের একটি দল পাঁশকুড়ায় আসে। পাঁশকুড়া থানার পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান শুরু হয়। কিন্তু কয়েকঘণ্টা পর অভিযুক্তের মোবাইলটি বন্ধ হয়ে যায়। অনুমান, পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে অভিযুক্ত তার মোবাইলটি চালু অবস্থায় রেল লাইনের ধারে ফেলে গিয়ে থাকতে পারে। পুলিশের একাংশ মনে করছে, অভিযুক্ত ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা খুনে অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার এবং আর জি কর কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে মঙ্গলবার পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। সংগঠনের পাঁশকুড়া ব্লক সম্পাদক ধুমা কিস্কু বলেন,"প্রিয়াঙ্কা হাঁসদাকে নির্মম ভাবে খুন করা হয়েছে। পুলিশ এখনও অভিযুক্তকে ধরতে পারছে না। অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি আর জি কর কাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার এবং চরম শাস্তির দাবিতেও আমরা পথে নেমেছি।"