Housing For All

আবাসে ‘পক্ষপাত’, রেঁধে বিক্ষোভ পুরসভার সামনে

বেশ কয়েকমাস ধরে প্রকল্পের বাকি টাকা চেয়ে পুরসভায় আবেদন করা  হয়েছে। কিন্তু পুরসভা প্রাপ্য টাকা দেয়নি। বৃহস্পতিবার যখন বিক্ষোভ হচ্ছে, তখন তাঁদের সমর্থনে উপস্থিত হয়েছিলেন শহরের বিজেপি কর্মীরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামজীবনপুর শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২০ ০৫:৫৭
Share:

স্টোভ জ্বেলে রান্না করে প্রতিবাদ পুরসভার সামনে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

আবাস প্রকল্পে পক্ষপাতের অভিযোগ। রামজীবনপুর পুরসভার সামনে বসে রান্না করলেন তিনটি পরিবারের মেয়েরা।

Advertisement

তৃণমূল পরিচালিত রামজীবনপুর পুরবোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণের পর দায়িত্বে রয়ে‌ছে পুর-প্রশাসকমণ্ডলী। মেয়াদ ফুরনোর আগেই বিজেপির অনাস্থা ঘিরে‌ শোরগোল পড়েছিল এখানে। বৃহস্পতিবার যখন বিক্ষোভ হচ্ছে, তখন তাঁদের সমর্থনে উপস্থিত হয়েছিলেন শহরের বিজেপি কর্মীরাও।

পুরসভা সূত্রের খবর, বছর খানেক আগে পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা উত্তম রুইদাস এবং জয়দেব রুইদাসের নামে ‘সবার জন্য ঘর’ প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ হয়। বছর চারেক আগে পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের রাজমার বাসিন্দা তপন ঘোষের নামেও টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে প্রথম কিস্তির ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার জেরে জায়গা চিহ্নিত না হওয়ায় ঘর নির্মাণ শুরু করতে দেরি হয়। সমস্যা মেটার পর ওই টাকায় নির্মাণ শুরু হয়েছিল। বেশ কয়েকমাস ধরে প্রকল্পের বাকি টাকা চেয়ে পুরসভায় আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু পুরসভা প্রাপ্য টাকা দেয়নি। বিক্ষোভকারী উত্তমের অভিযোগ, ‘‘বছর খানেক আগে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু বহুবার বলার পরেও আমাকে টাকা দেওয়া হয়নি। দিন দশেক আগে পুরসভার প্রশাসক বাড়ি ভাঙার কথা জানান। সেই মতো ত্রিপলের ঘর সরিয়ে জায়গা উপযুক্ত করা হয়। কিন্তু পুরসভার পক্ষ থেকে ঘর তৈরির ছাড়পত্র দিচ্ছে না।’’ একই অভিযোগ জয়দেব রুইদাসেরও। তিনটি পরিবারই বিজেপি সমর্থক হিসেবে পরিচিত। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, একই সময়ে আবেদনকারীদের অনেকে টাকা পেলেও তাঁরা বঞ্চিত। কিন্তু রাস্তায় রান্না কেন? বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ‘‘ঘর নেই। তাই রাস্তাতেই রান্না করতে হচ্ছে।’’ বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য শিবরাম দাসের অভিযোগ, “প্রাপ্য টাকা পুরসভা দিচ্ছে না। পক্ষপাতিত্ব করে টাকা আটকে রেখেছে।” রামজীবনপুরের পুরপ্রশাসক নির্মল চৌধুরী বলেন, “পক্ষপাতের অভিযোগ সঠিক নয়। বিজেপির অনেকে ঘর পেয়েছে। উপভোক্তাদের ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য টাকা পেতে দেরি হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement