মেদিনীপুরে সার্কিট হাউসে বৈঠকে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা শোনালেন পরিবহণমন্ত্রী। মঙ্গলবার মেদিনীপুরে এক প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই ঝাড়গ্রামে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস ডিপো এবং পরিবহণ দফতরের কার্যালয় তৈরির কথা জানান তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য নতুন সাতটি বাস, ঘাটালে মোটর ভেহিকলস্-এর অফিস তৈরি-সহ একাধিক পরিকল্পনার কথা শোনান। পরিবহণমন্ত্রীর কথায়, “ঝাড়গ্রামে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ দফতরের একটি পূর্ণাঙ্গ ডিপো এবং টার্মিনাস তৈরি হবে। জেলা প্রশাসন জায়গার ব্যবস্থা করবে।”
মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুরে আসেন পরিবহণমন্ত্রী। মেদিনীপুর সার্কিট হাউসের প্রশাসনিক বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত, নারায়ণগড়ের বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ প্রমুখ। পরিবহণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মেদিনীপুর, খড়্গপুর বাসস্ট্যান্ডের আধুনিকীকরণ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বাসস্ট্যান্ডগুলি আধুনিক মানের করা হবে। বেলদায়ও বাসস্ট্যান্ড হবে। ঝাড়গ্রাম থেকে বান্দোয়ান পর্যন্ত আধুনিক মানের প্যাসেঞ্জার শেড তৈরি হবে। এ জেলা নতুন ৭টি বাসও পাবে।” ঘাটালের মোটর ভেহিকেলস্ অফিসের জন্য জেলা প্রশাসন জমি খুঁজছে বলে জানান মন্ত্রী। পরিবহণ সমস্যার কথা আলোচনা প্রসঙ্গে দফতরের যাবতীয় কাজ ইন্টারনেটে করার কথা বলা হয়েছে। সে জন্য শীঘ্রই ‘ই-সারথী’, ‘ই-বাহন’ প্রকল্প চালু হবে। এর ফলে, পরিবহণ দফতরের যাবতীয় নথি ই-ব্যবস্থার মধ্যে চলে আসবে। মন্ত্রীর দাবি, ‘‘এতে স্বচ্ছতা থাকবে। পরিচ্ছন্নতা থাকবে।” পুলকার সংগঠনের নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসার নির্দেশও দেন পরিবহণমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “জেলাশাসককে বলেছি বৈঠক করতে। পুলকারের রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে টায়ারের নম্বর উল্লেখ করা থাকবে। যাতে পুলিশ বা পরিবহণ দফতরের লোকেরা চেকিং-এর সময় তা দেখতে পায়। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পুরনো গাড়িগুলো বদলাতে হবে।”