এখন যে অবস্থায়। নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুরের প্রবেশদ্বার কোলাঘাট। পুরসভা না হলেও কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র লাগোয়া মেচেদা কার্যত শহর এলাকায় পরিণত হয়েছে। অথচ ব্যস্ত, জনবহুল এই জায়গায় কোনও ভ্যাট নেই। রাস্তার ধারে যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকে আবর্জনা। আবর্জনা ফেলার কারণে ঘনঘন মজে যাচ্ছে বাঁপুর খাল। বছর পাঁচেক আগে মেচেদা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। প্রকল্পের পরিকাঠামো তৈরির কাজ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেলেও আজও সেটি চালু হয়নি। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে মেচেদাবাসীর।
শান্তিপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন মেচেদা এলাকাটি বেশ জনবহুল।প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মেচেদা বাসস্ট্যান্ড এবং রেল স্টেশনটি ব্যবহার করে থাকেন।ব্যাঙ্ক,পাইকারি আনাজ,মাছ ও পান বাজার,ফল বাজার,অসংখ্য দোকানের পাশাপাশি মেচেদায় গড়ে উঠেছে অনেক আবাসনও। ২৪ ঘণ্টাই কার্যত মানুষের আনাগোনায় গমগম করে মেচেদা।এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা আবর্জনার ফাঁসে কার্যত অবরুদ্ধ।শহরে কোনও ভ্যাট না থাকায় স্থানীয় মানুষজন থেকে দোকানদার প্রত্যেকেই রাস্তার ধারে আবর্জনা ফেলেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে নিয়মিত আবর্জনা সংগ্রহ করা হয় না বলেও অভিযোগ। আবর্জনার স্তূপ থেকে ছড়িয়ে পড়া পচা দুর্গন্ধে ওষ্ঠাগত বাসিন্দারা। শহরে আসা মানুষজনকে নাকে রুমাল চেপে কাজকর্ম সারতে হয়।
বছর পাঁচেক আগে রাজ্য গ্রিন সিটি মিশনের আর্থিক সহায়তায় মেচেদা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জায়গায় পচনশীল বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির প্রকল্প তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর জন্য প্রথম দফায় বরাদ্দ হয় ৬০ লক্ষ টাকা। তিন বছর আগে প্রকল্প এলাকায় সীমানা পাঁচিল দেওয়া এবং মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু আজও চালু হয়নি সেই প্রকল্প। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে এসে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মেচেদার মতো জায়গায় বর্জ্য নিষ্কাশনের প্রকল্পটি উদ্বোধনের তালিকায় না থাকায় ক্ষুব্ধ সেখানকার মানুষ।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে মেচেদা পরিবেশ সুরক্ষা কমিটি। অবিলম্বে প্রকল্পটি চালু করতে শহিদ মাতঙ্গিনীর বিডিওকে চিঠি দিয়েছে কমিটি। কমিটির সদস্য নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘মেচেদার মতো জায়গায় কোনও ভ্যাট নেই। আবর্জনা মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্পটি চালু হয়ে গেলে এই সমস্যা আর থাকবে না। অথচ প্রশাসন এ ব্যাপারে উদ্যোগী হচ্ছে না। প্রকল্পটি চালু না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’
শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও অমিত কুমার গায়েন বলেন, ‘‘প্রকল্পটি যাতে দ্রুত চালু করা যায় তার জন্য শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। শীঘ্রই চালু হয়ে যাবে।’’