ডুবে যাওয়া বার্জ তোলার কাজ শুরু

ডুবুরিদের দাবি, বার্জের ভিতর যা যা জিনিস রয়েছে, তা বের করে নেওয়া হলে সেটি কিছুটা হালকা হয়ে যাবে। তখন স্বাভাবিকভাবে বার্জটি ভেসে উঠবে। বার্জের পাইলট মলয় বাগ এ দিন বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে আরও চার-পাচ দিন সময় লাগবে বার্জটি তুলতে।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহিষাদল শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:১৮
Share:

উদ্ধার হওয়া নাবিকদের এই ঘরেই রাখা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র

হুগলি নদীতে ডুবে থাকা বাংলাদেশের বার্জ উদ্ধারের কাজ শুরু হল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বার্জ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ভোর থেকেই বার্জ উদ্ধার কাজ শুরু করে দেন সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ। সে জন্য কলকাতা থেকে একটি অভিজ্ঞ দল আনা হয়েছে। এ দিন প্রাথমিকভাবে কয়েক জন ডুবুরি নদীতে নেমে বার্জের ভিতর জমে থাকা পলি সাফ করেন। পরে বার্জের ভিতর থাকা কিছু জিনিস উদ্ধার করে ডাঙায় নিয়ে আসা হয়। তবে সকাল ১০টার পর হুগলি নদীতে জোয়ার এসে যাওয়ায় উদ্ধার কাজ আর এগোতে পারেনি।

ডুবুরিদের দাবি, বার্জের ভিতর যা যা জিনিস রয়েছে, তা বের করে নেওয়া হলে সেটি কিছুটা হালকা হয়ে যাবে। তখন স্বাভাবিকভাবে বার্জটি ভেসে উঠবে। বার্জের পাইলট মলয় বাগ এ দিন বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে আরও চার-পাচ দিন সময় লাগবে বার্জটি তুলতে।’’

Advertisement

বর্তমানে উদ্ধার হওয়া ব্রাজের ১০ নাবিক মহিষাদলের বাদুড়িয়া এলাকায় একটি ক্লাব ঘরে রয়েছেন। সেখান প্রথমে তাঁদের পর্যাপ্ত খাবার মিলছিল না এবং জিনিস খোওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন নাবিকেরা। সেই খবর সামনে আসার পরেই এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটানাস্থলে যান মহিষাদলের বিডিও জয়ন্তকুমার দে এবং বিদায়ী সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী এবং একাধিক পুলিশ আধিকারিক। তাঁরা গিয়ে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। পরে ওই নাবিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তার পরেই নাবিকেরা জানিয়েছেন, এখন আর কোনও অসুবিধা তাঁদের হচ্ছে না। কারণ সব দফতরের আধিকারিকরা এসে ঘুরে যাচ্ছেন এবং কথা বলে সমস্যার কথা জানছেন।

মহিষাদলের বিডিও জয়ন্তকুমার দে বলেন, ‘‘একান্তে সবার সঙ্গে সুবিধে-অসুবিধে নিয়ে কথা বলা হয়েছে। মালিক পক্ষ খাওয়ার এবং অন্য বন্দোবস্ত করে দিয়েছে বলে শুনেছি।’’ মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্থানীয়দের দেখভালের কথা বলে এসেছি। প্রয়োজন হলে ওঁদের সরাসরি যোগাযোগ করতে বলেছি।’’

এদিকে, বার্জ উদ্ধার করতে আরও চার-পাঁচ দিন লাগলে হুগলি নদীতে দূষণ কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement