WB Panchayat Election 2023

তৃণমূলের পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রধান পদ্ম-প্রার্থী

মহিষাদলের বাসিন্দা রঘুনাথ পন্ডার বয়স ৮০ ছুঁইছুঁই। প্রবীণ রঘুনাথ মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Advertisement

কেশব মান্না

মহিষাদল শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৩ ০৮:৪৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP

কেউ পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। একাধিকবার তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদ সামলেছেন। কেউ আবার রাজ্যের শাসকদল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি বা জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষের ভাইপো। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁরাই ঘাস ফুল শিবিরের বিরোধী পক্ষে। বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে আপাতত প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছেন।

Advertisement

মহিষাদলের বাসিন্দা রঘুনাথ পন্ডার বয়স ৮০ ছুঁইছুঁই। প্রবীণ রঘুনাথ মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রঘুনাথ স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে ২০০৩ সাল থেকে প্রধান ছিলেন। সে সময় স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচিতে তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পেয়েছেন। ২০০৮ সালে ওই একই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন তাঁর স্ত্রী দীপা পন্ডা। আপাতত তিনি তৃণমূল পরিচালিত মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির নারী কর্মাধ্যক্ষ। অন্য প্রার্থী ইন্দ্রদীপ ভৌমিক অবশ্য মাঝ বয়স্ক। তিনি তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব ভৌমিকর ভাইপো। বুদ্ধদেব মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও ছিলেন। ইন্দ্রদীপ এবার মহিষাদলের কিসমত নাইকুন্ডি, রমণীমোহন, অমৃত বেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে গঠিত জেলা পরিষদ আসনেবিজেপির প্রার্থী।

গত বিধানসভা ভোটে মহিষাদলে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী তিলক চক্রবর্তী। তবে এই এলাকায় খানিকটা পিছিয়ে ছিল শাসক দল। সেই পিছিয়ে থাকার বিষয়টিকে হাতিয়ার করে আপাতত ইন্দ্রদীপ এবং রঘুনাথ দুজনে একসঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রচার শুরু করেছেন। তাতে এলাকাবাসীর তরফে ভাল সাড়া পাচ্ছেন বলে তাঁদের দাবি। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাওয়া দলেরই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আর জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব ভৌমিকর মতো স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রাজনীতিবিদের ভাইপো বিজেপির প্রার্থী, স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল।

Advertisement

কিন্তু, শাসকদলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেড়ে কেন পঞ্চায়েতের ময়দানে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন?

রঘুনাথের জবাব, ‘‘কিছুদিন চুপচাপ বসে গিয়েছিলাম। যাঁদের আচরণে বীতশ্রদ্ধ হয়ে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলাম, তাঁরাই এখন মহিষাদলকে লুটেপুটে খাচ্ছে। তাই আর বসে থাকতে পারছি না।’’ জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রদীপ বলছেন, "স্বাধীনতার পর থেকে বারবার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সংঘাতের জেরে বাংলা পিছিয়ে গিয়েছে। তাছাড়া, এখানে শাসক দল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত গ্রাম বাংলা গড়ে তুলতে বিজেপি ছাড়া আর গতি নেই।" নাম না করলেও দু’জনের আক্রমণের লক্ষ্য যে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, তা কার্যত স্পষ্ট। যদিও তিলক বলছেন, "এতদিন বাদে কারও যদি মনে হয় তৃণমূল চোর, তাহলে বলার কিছু নেই। সব কিছু সুযোগ-সুবিধে পাওয়ার পর তারা দল ছেড়ে গিয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement