খড়্গপুর রাবণপোড়া ময়দানে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল পরিদর্শনে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
শহরের নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ গ্রহণের দিনেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভার প্রস্তুতি শুরু করল প্রশাসন।
এ বার বিধানসভা উপ-নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী তথা পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার জেতার পরেই এই জনসভার সিদ্ধান্ত। এ দিন বিধানসভায় শপথ শেষে শহরের কাউন্সিলরদের নিয়ে সস্ত্রীক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নানা প্রকল্পের দাবিও জানিয়েছেন প্রদীপ। সন্ধ্যায় শহরে ফিরে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যান বিধায়ক।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আগামী ৯ ডিসেম্বর বেলা ১টায় মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে খড়্গপুরে পৌঁছবেন। এ দিনের পরিদর্শনে ঠিক হয়েছে, রাবণপোড়া ময়দানের পশ্চিমে। উত্তর দিকে হবে হেলিপ্যাড। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মাঠে ২৫ থেকে ৩০হাজার লোক জমায়েত করা যায়। বেশি ভিড় হলে কী করা হবে তা-ও খতিয়ে দেখা হয়। নিরাপত্তা দেখেন আইজি রাজীব মিশ্র ও ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) সুকেশ জৈন।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “এক ঐতিহাসিক জয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী এ বার শহরে আসছেন। তাই দিদিকে দেখতে এই জনসভায় বহু মানুষ এখন থেকেই আসার ইচ্ছে প্রকাশ করছে। তাঁরা যাতে সুষ্ঠুভাবে এসে ওই মাঠে দাঁড়াতে পারে সেই ব্যবস্থা প্রশাসনকে করতে বলেছি। আমাদের ধারনা, ৫০হাজার মানুষ ভিড় জমাবে।”
এ দিনই বিধানসভায় গিয়ে শপথ নিয়েছেন নবনির্বাচিত বিধায়ক প্রদীপ। পরে বিধানসভায় তিনি দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন খড়্গপুরের প্রায় ১৮জন কাউন্সিলর। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন প্রদীপ সরকারের স্ত্রী পাপিয়া ও মেয়ে অস্মিতাও। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নবনির্বাচিত বিধায়ক শহরের অডিটোরিয়াম, সুইমিং পুল, ইন্ডোর স্টেডিয়াম, নিকাশি প্রকল্পের দাবি জানান। প্রদীপের কথায়, “আমি শপথ নিয়েই দিদির সঙ্গে কথা বলে শহরে অডিটোরিয়াম-সহ কয়েকটি প্রকল্পের দাবি জানিয়ে তালিকা দিদির হাতে তুলে দিয়েছি। অডিটোরিয়াম খুব প্রয়োজন বলে জানিয়েছি।”
এ দিন সন্ধ্যায় শহরে ফিরে এসে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে প্রদীপ প্রণাম করতে গোলবাজার চাঁদনিচক দুর্গামন্দির, ওল্ড সেটেলমেন্ট বালাজিমন্দির ও খরিদা জৈন মন্দিরে যান।