খেজুরডাঙা মাঠ ঘুরে দেখছেন বিজেপি নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী চন্দ্রকোনায় আসছেন সভা করতে। ১৬ জানুয়ারির সেই সভাস্থল চূড়ান্ত হল মঙ্গলবার। চন্দ্রকোনা শহর লাগোয়া খেজুরডাঙা মাঠে হবে শুভেন্দুর সভা।
ওই সভা সফল করতে এ দিনই চন্দ্রকোনায় প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। প্রশাসনিক অনুমতি-সহ সভার যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব ছাড়াও চন্দ্রকোনা ১ ও ২ ব্লকের মণ্ডল কমিটির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষ করে এ দিন খেজুরডাঙা মাঠ পরিদর্শন করেন বিজেপি নেতৃত্ব। মঙ্গলবার থেকেই চন্দ্রকোনায় শুভেন্দুর সভার প্রচারও শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপি সূত্রের খবর, রবিবার রাতেই চন্দ্রকোনায় শুভেন্দুর সভা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। প্রথমে ১৭ জানুয়ারি সভা হওয়ার কথা ছিল। সোমবার বিকেলে দিন বদলে ১৬ জানুয়ারি সভা চূড়ান্ত হয়। সে দিন কেশপুরে সভা হওয়ার কথা ছিল।পরে অবশ্য কেশপুরের সভা পিছিয়ে ২০ জানুয়ারি স্থির হয়েছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম জুড়ে একাধিক সভা করছেন শুভেন্দু। তবে চন্দ্রকোনায় আসছেন এই প্রথম। ওই সভায় তৃণমূল ও সিপিএমের অনেকেই বিজেপিতে যোগদান করবেন বলে প্রচার করছে গেরুয়া শিবির। সব মিলিয়ে শুভেন্দুর ওই সভা ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে।
বিজেপির এক সূত্রে খবর, শুভেন্দুর সভায় এমনিতেই জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুগামীরা আসেন। তবে চন্দ্রকোনার সভায় মূলত চন্দ্রকোনা বিধানসভা এলাকা থেকেই কর্মী-সমর্থকরা আসবেন। সভায় হাজার কুড়ি জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিজেপি। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে চন্দ্রকোনার মণ্ডল কমিটির সভাপতিদের প্রতি বুথ থেকে পাঁচটি করে গাড়ি ভর্তি লোক আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সভার জন্য এ দিন একাধিক কমিটিও তৈরি হয়। মঞ্চ-সহ সভা পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল সাংগাঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রামকুমার দে, সম্পাদক যাদব সামন্ত ও শিবরাম দাস, জেলার সহ-সভাপতি মানসী চৌধুরী-সহ বিজেপির মণ্ডল কমিটির সভাপতিরা। বৈঠকে চন্দ্রকোনা জুড়ে ব্যাপক প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শক্তিকেন্দ্র প্রমুখদের বুথে বুথে প্রচারের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।
সভার মূল দায়িত্বে থাকা চন্দ্রকোনা দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি রাজীব পাল জানান, শুভেন্দুর সভাটি চন্দ্রকোনা জিরাট হাইস্কুলের মাঠে সভা করার কথা ঠিক হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষকে সোমবারই আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু ১৫ জানুয়ারির আগে মাঠের বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত জানানো যাবে না বলে স্কুল জানিয়ে দেয়। এরপরই খেজুরডাঙার মাঠটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের ধারেই চন্দ্রকোনা শহর লাগোয়া এই মাঠটি বেশ বড়। সভার পক্ষে উপযুক্তও।