Pradhan Mantri Awas Yojana

কেন্দ্রীয় দলের প্রশ্নের মুখে মেয়ে হল জা!

এ দিন দুপুর ২টা নাগাদ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল উপভোক্তা তালিকা ধরে যায় ১১৩ নম্বর বুথের বাসিন্দা ইসমাইল মল্লিকের বাড়িতে। বাড়িটি দোতলা এবং পাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহিষাদল শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৩৩
Share:

ফাইল চিত্র।

পরিদর্শনের তৃতীয় দিন। আবাস প্রকল্পের শুক্রবার কেন্দ্রীয় দল হাজির মহিষাদলের বেতকুণ্ডু পঞ্চায়েতের ১১৩ নম্বর বুথ এলাকায়। সেখানে তালিকায় থাকা এক উপভোক্তা পাকা দোতলা বাড়ি দেখে অবাক প্রতিনিধিরা। আর সেই বাড়ির মালিকের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় যে উত্তর শুনতে হল, তাতে তাঁদের চক্ষুচড়কগাছ। ‘ধরা পড়া’র ভয়ে নিজের মেয়েকেই সম্পর্কে জা বানিয়ে ফেললেন বাড়ি মালিকের স্ত্রী!

Advertisement

এ দিন দুপুর ২টা নাগাদ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল উপভোক্তা তালিকা ধরে যায় ১১৩ নম্বর বুথের বাসিন্দা ইসমাইল মল্লিকের বাড়িতে। বাড়িটি দোতলা এবং পাকা। ইসমাইল সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী সাবেরা বিবিকে কেন্দ্রীয় দলের এক সদস্য জিজ্ঞাসা করেন, বাড়িটি কার? সবেরা বলেন, বাড়িটি তাঁর জায়ের। কেন্দ্রীয় দলটি তখন প্রশ্ন করেন, তাঁর বাড়ি কোনটি? সাবেরা পাশের একটি কাঁচা মাটির বাড়ি দেখিয়ে দেন। এর পরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল জানতে চান ‘জা’ কোথায়? তাতে সাবেরা এক বিবাহিতা তরুণীকে দেখিয়ে দেন। কিন্তু দুই মহিলার বয়সের তারতম্য দেখে সন্দেহ হয় প্রতিনিধদের।

ওই সময় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদেরই মধ্যে ছিলেন স্থানীয় এক যুবক শেখ জালাউদ্দিন। তাঁকে প্রতিনিধিরা জিজ্ঞাসা করেন যে, ওই দুই মহিলার মধ্যে কী সম্পর্ক? তাতে জালাউদ্দিন জানান, ওই তরুণীর নাম ইসমতারা বিবি। আর তিনি সাবেরা এবং ইসমাইলের কন্যা। বিবাহিতা ইসমতারা কিছু দিনের জন্য বাপের বাড়িতে এসেছেন।

Advertisement

এতেই কারচুপির বিষয়টি সামনে আসে। স্থানীয় সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন যে, ইসমাইল ভিন্ রাজ্যে ঠিকাদারি করেন এবং সেই আয়েই ওই দোতালা বাড়ি বানিয়েছেন। অন্যদিকে পুরনো কাঁচা বাড়ি দেখিয়ে আবাস যোজনার তালিকায় নাম তুলিয়েছেন। এরপরই সাবেরা বিবি কান্নায় ভেঙে পড়ে সত্যিটা উগরে দেন এবং মিথ্যা বলার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

গোটা ঘটনাই ঘটে মহিষাদলের বিডিও যোগেশচন্দ্র মণ্ডলের সামনে। কার্যত সবচেয়ে অপ্রস্তুত দেখায় তাঁকে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের এক আধিকারিক প্রকাশ্যেই তাঁকে প্রশ্ন করেন, প্রকৃত গরিবদের বাদ দিয়ে একজন সমর্থ্যবান পরিবার কী করে আবাস যোজনা তালিকা ভুক্ত হয়? বিডিও তাতে ছিলেন নিরুত্তর। যদিও পরে এ ব্যাপারে যোগেশচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘যা ভুলভ্রান্তি হয়েছে, তা সংশোধন করে নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement