সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
পোস্টারে বিদ্ধ বিধায়ক! সরগরম গোয়ালতোড়।
গোয়ালতোড়ের সাঁওতাল বিদ্রোহ সার্ধশতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল কলেজের অন্দরেই। শ্রীকান্তের বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ লেখা কম্পিউটার প্রিন্টের এই পোস্টার মঙ্গলবার কলেজের ভিতরে কয়েক জায়গায় সাঁটানো ছিল। এদিক ওদিক পড়েও ছিল কয়েকটি। মঙ্গলবার তা নজরে আসতেই শোরগোল শুরু হয় গোয়ালতোড়ে। পোস্টারে এবিভিপি-র নাম দেওয়া থাকলেও, কলেজে পোস্টার সাঁটানোর দায়ভার অবশ্য তারা নেয়নি। পুরো ঘটনার পেছনে বিরোধীদের চক্রান্ত দেখছেন শ্রীকান্ত। পোস্টারে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে এর নেপথ্যে কারা রয়েছে তার যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পোস্টারে শ্রীকান্ত মাহাতোকে কোথাও এমএলএ, কোথাও কলেজের জিবি সভাপতি হিসাবে সম্বোধন করা হয়েছে। প্রথমেই 'ভারত মাতা কি জয়' দিয়ে লেখা হয়েছে - ঘুষ নিয়ে নিয়োগ করা বন্ধ কর শ্রীকান্ত মাহাতো। দুর্নীতির স্বপক্ষে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে ‘জিবি মেম্বার, জিবি প্রেসিডেন্ট কলেজ থেকে দূর হটো’ বলে পোস্টারে লেখা হয়েছে। নীচে লেখা এবিভিপি। কলেজের ভিতরেই পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা বিধায়কের নামে এই পোস্টার পড়ায় শোরগোল পড়ে গোয়ালতোড়ে। শ্রীকান্ত বলেন, ‘‘এবিভিপি-ই অপপ্রচার করতে পোস্টার দিয়েছে। অভিযোগের কোনও সারবত্তাই নেই। এভাবে নিয়োগ হয় না। তার আলাদা নিয়ম আছে। পুলিশকে বলেছি তদন্ত করে দেখতে।’’ এবিভিপি-র জেলা সভাপতি স্বরূপ মাইতি বলেন, ‘‘আমাদের কেউ গোয়ালতোড় কলেজে পোস্টার দেয়নি। তৃণমূলের নিজেদের গ্রুপের ব্যাপার। ওদেরই কাজ এটা। তবে দুর্নীতি যে হচ্ছে তা বোঝাই যাচ্ছে।’’
কলেজের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার কলেজের পরিচালন সমিতির সভা হয়। সভায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তাছাড়া উচ্চশিক্ষা দফতর থেকেও নিয়োগের বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। ফলে কর্মী নিয়োগ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি কলেজে। তা হলে কেনও এ ধরনের পোস্টার পড়ল? কলেজের অধ্যক্ষ মন্টুকুমার দাস বলেন, ‘‘সেটা আমি জানি না। তবে পোস্টার কারা দিল তা খুঁজে বার করতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখছি। পুলিশেরও দ্বারস্থ হব।’’