শেখ সুফিয়ান। —ফাইল চিত্র।
ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় এ বার নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। বৃহস্পতিবার সিবিআই-এর সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুফিয়ানকে। ভোটের ফল ঘোষণার পর নন্দীগ্রামের একাধিক এলাকায় বিজেপি-র উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার জেরে দেবব্রত মাইতি নামে এক ব্যক্তি খুন বলেও অভিযোগ। ওই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে সুফিয়ানের।
নন্দীগ্রামের চিল্লোগ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপি সমর্থক দেবব্রত মাইতিকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই কাণ্ডে নাম জড়ায় সুফিয়ানেরও। মানবাধিকার কমিশনের কাছে যে অভিযোগ দেবব্রতর পরিবারের সদস্যরা দায়ের করেছেন তাতে অভিযুক্তদের তালিকায় সুফিয়ানের নাম রয়েছে। ভোট পরবর্তী সেই ঘটনাতেই সুফিয়ানকে তলব করেছে সিবিআই। এই প্রসঙ্গে সুফিয়ান বলেন, ‘‘সিবিআই আমাকে নোটিস পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার হলদিয়া বন্দর সংলগ্ন সরকারি গেষ্ট হাউসে আমাকে হাজির হতে বলা হয়েছে।’’ সুফিয়ানের দাবি, ‘‘আমি ওই ঘটনায় জড়িত নই। তবুও যে হেতু সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছে তাই আমাকে যেতেই হবে।’’
বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি, নন্দীগ্রামের বাসিন্দা প্রলয় পাল পাল্টা বলেন, ‘‘নির্বাচনের পর দিন চিল্লোগ্রামে দেবব্রত মাইতির বাড়ি গিয়ে তাঁকে মারধর করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় দেবব্রতকে কলকাতায় নিয়ে গেলে দু’দিন বাদে মৃত্যু হয় তাঁর।’’ প্রলয়ের অভিযোগ, ‘‘নন্দীগ্রাম থানায় সেই মুহূর্তে মামলা করা যায়নি। কারণ তৃণমূলের লোকেরা চার দিক ঘিরে রেখেছিল। পুলিশও নিষ্ক্রিয় ছিল। পরে মানবাধিকার কমিশন নন্দীগ্রামে এলে তাঁদের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই ঘটনায় সেখ সুফিয়ান-সহ নন্দীগ্রামের বেশ কয়েক জন প্রথম সারির তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে।’’
ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে বুধবারও বীরভূমের ইলামবাজারের তৃণমূল দফতরে হানা দেয় সিবিআই-এর দল। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ইলামবাজার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ফজরুল রহমান এবং ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রবি মুর্মুকে। ভোটের পর মৃত্যু হয় ইলামবাজারের গোপালনগর গ্রামের গৌরব সরকার নামে এক বিজেপি কর্মীর। ওই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। এই নিয়ে তিন দিন, ইলামবাজার তৃণমূল কার্যালয়ে হানা দিল সিবিআই-এর দল।