Health Insurance

বিমাতেও রাজনীতি, বিপন্ন প্রাণ

এমন দৃষ্টান্ত দুই জেলাতেই রয়েছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই বিমার সুযোগ নিয়েও চলছে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

কিছুদিন আগে গোয়ালতোড়ের এক যুবক বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। তাঁকে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্বেও শেষমেশ সেই হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে তাঁকে অন্যত্র ভর্তি করাতে হয়েছিল। চিকিৎসাতেও মোটা টাকা খরচ হয়েছিল।

Advertisement

এমন দৃষ্টান্ত দুই জেলাতেই রয়েছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই বিমার সুযোগ নিয়েও চলছে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর। এক দিকে রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে টাকা না পাওয়ার নালিশ, অন্য দিকে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এ রাজ্যে চালু করতে না দেওয়ার ক্ষোভ। ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডুর অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু হলে জঙ্গলমহলের মানুষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রচুর উপকৃত হতেন।’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু পাল্টা বলেন, ‘‘২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই জেলায় তিনটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় অনুদান যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর মধ্যে পড়ে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কেন্দ্র ও রাজ্যের সাহায্য প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় অগণতান্ত্রিক ভাবে টাকা দেওয়া বন্ধ করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার।’’

সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলিকে তৃণমূল সরকার সাফল্য হিসেবে দেখালেও কার্যত সেখানে পরিষেবা মেলে না। নয়াগ্রাম ও গোপীবল্লভপুর দু’টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যেমন ঝাঁ চকচকে নীল-সাদা ভবন রয়েছে। কিন্তু সামান্য সিটিস্ক্যান পরিষেবা নেই। ঘাটাল সুপার স্পেশালিটিতেও পরিকাঠামোর উন্নতি হচ্ছে ধীরে ধীরে। ব্যস্ত রেলশহর খড়্গপুরে অবস্থিত মহকুমা হাসপাতালেও চিকিৎসক থেকে সাফাইকর্মীর অপ্রতুলতায় বিপাকে কর্তৃপক্ষ। দিন কয়েক আগে এই হাসপাতাল পরিদর্শন করে অপরিচ্ছন্ন চেহারা দেখে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মহকুমাশাসক নিজে।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজও সেই নামেই। বার্ন ইউনিট, নিউরো ও কার্ডিয়োলজির ক্ষেত্রে এখনও রেফার করতে হয়। নেই এমআরআইয়ের ব্যবস্থাটুকু। অথচ ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের উপর পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড ও বাঁকুড়া জেলার মানুষজনও নির্ভরশীল। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবাশিসের দাবি, ‘‘অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় ভবন তৈরি হচ্ছে ও সমস্ত মেশিন পত্র চলে এসেছে। কিন্তু নতুন করে চিকিৎসক দিয়ে সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যর্থ রাজ্য সরকার।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল মুর্মু পাল্টা বলছেন, ‘‘ওরা অভিযোগ করতে ওস্তাদ। কিন্তু হাসপাতাল হোক বা সরকারি পরিষেবা, লাইনে কিন্তু বিজেপির লোকজনই প্রথমে থাকে।’’ (চলবে)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement