গ্রামীণ মেলার পাশেই প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছিল মদ, চলছিল জুয়াও। অভিযোগ পেয়ে ওই আসর বন্ধ করতে গিয়েছিলেন এগরা থানার এক ভিলেজ পুলিশ। অভিযোগ, তাঁকে আটকে রেখে মারধর করেছেন মদ বিক্রেতারা। এমনকী মদত দিয়েছেন মেলা কর্তৃপক্ষও। পরে এগরা থানার পুলিশ বাহিনী গিয়ে ওই ভিলেজ পুলিশকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। গ্রেফতার করা হয় এক মদ বিক্রেতাকে।
জানা গিয়েছে, এগরা-১ ব্লকের পাঁচরোল হাইস্কুল ময়দানে গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে পাঁচরোল আঞ্চলিক মেলা। আর পাঁচটা মেলার মতো সেখানেও ছিল নানা ধরনের স্টল, সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা কিছুদিন আগে অভিযোগ করেছিলেন, মেলায় বিক্রি হচ্ছে মদ, বসছে জুয়ার আসর। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ টহলদারির সময় মেলার পাশে রাস্তার ধারে প্রকাশ্যে মদ বিক্রি করা এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন মানিক দাস নামে ওই ভিলেজ পুলিশ। তাঁর অভিযোগ, তিনি মদ বিক্রি বন্ধ করতে বলায় খেপে যান বিক্রেতা মন্টু দাস। মন্টুর সমর্থনে মেলা কমিটির লোকজনও জড়ো হয়ে যান বলে অভিযোগ। এরপর মানিকবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয় মেলা কমিটিরই একটি ঘরে। সেখানেই তাঁকে মারধরও করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান এগরার পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ জানিয়েছে, মন্টু দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিলেজ পুলিশকে আটকে মারধর করার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মেলা কমিটির লোকজনেরও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেলা কমিটির উপদেষ্টা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য রাধানাথ মিশ্র। তিনি বলেন, ‘‘ওই রাতে মেলার কাছে এক ব্যক্তি অভব্য আচরণ করায় ভিলেজ পুলিশ তাঁকে বাধা দিয়েছিলেন। তাতেই গোলামাল বাধে। মেলা কমিটির লোকজন গিয়ে দু’পক্ষকে ডেকে সমাধান করতে চেয়েছিলেন। ভিলেজ পুলিশকে মারধর করার অভিযোগ ঠিক নয়।’’