অর্পিতার পাশে পুলিশ সুপার

সংসারে আয়ের উৎস এক ফালি জমি। তাতে দুই মেয়ে-স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয় অমিত হাজরাকে। তাঁর শরীরও ভাল না। মেয়ের ভাল ফলে তাই ঘুম উড়েছিল হাজরা দম্পতির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৭ ০০:৫১
Share:

আশ্বাস: অর্পিতার বাড়িতে ভারতী ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।

মাধ্যমিকে ৫৬৮ নম্বর পেয়ে খুশি হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি চন্দ্রকোনার রায়লা গ্রামের অর্পিতা হাজরার। এর পর কী করে পড়াশোনা এগোবে সেই চিন্তাই পেয়ে বসেছিল তাকে। তাই বাড়ি ফিরে মাকে জড়িয়ে হাউহাউ করে কেঁদেছিল সে।

Advertisement

সংসারে আয়ের উৎস এক ফালি জমি। তাতে দুই মেয়ে-স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয় অমিত হাজরাকে। তাঁর শরীরও ভাল না। মেয়ের ভাল ফলে তাই ঘুম উড়েছিল হাজরা দম্পতির। সোমবার আচমকাই রায়লা গ্রামের হাজির হন জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। অর্পিতার উচ্চশিক্ষার সমস্ত খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। মুখে হাসি ফুটেছে অর্পিতার।

অর্পিতার ইচ্ছামতো মঙ্গলবার চন্দ্রকোনার জিরাট হাইস্কুলে ভর্তির পাশাপাশি হস্টেলে তার থাকার বন্দোবস্তও করে দিয়েছে পুলিশ। শুধু অর্পিতার দিদি অসীমাও এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে। কলেজে ভর্তি-সহ তাঁরও পড়ার সমস্ত ভার নিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। ভারতীদেবী বলেন, ‘‘জেলার দুঃস্থ পড়ুয়াদের পাশে পুলিশ বরাবরই ছিল এবং থাকবে।”

Advertisement

অমিতবাবুর কথায়, ‘‘পা ভেঙে এখন আমি পঙ্গু। দুই মেয়েই মেধাবী। কিন্তু কী করে ওদের পড়াব! পুলিশ সুপার মেয়েদের পড়ার দায়িত্ব নেওয়ায় আমার চিন্তা দূর হল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement