n বন্ধ পটাশপুর থানার গেট। নিজস্ব চিত্র
জেল হেফাজতে নাবালিকা অপহরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী কালিপদ ওরফে মদন ঘোড়ইয়ের মৃত্যুতে বিক্ষোভের আশঙ্কায় নিরাপত্তায় জন্য বন্ধ রাখা হল থানার গেট। শুক্রবার সকাল থেকেই থানার ভিতরে প্রবেশের অনুমতি ছিল না সাধারণের। ফলে নানা জরুরি প্রয়োজনে থানায় আসা মানুষজন ঢুকতে না পেরে হয়রানির শিকার হলেন। এমনকী অভিযোগ না করেই ফিরতে হল অনেককে। ঘটনাটি এগরা মহকুমার পটাশপুর থানার।
একটি বিশেষ ঘটনার জেরে বিক্ষোভের ভয়ে থানার গেট বন্ধ রেখে এ ভাবে সাধারণ মানুষকে কেন হয়রান করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন এটা করা হল তার জবাবে পটাশপুর থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলন, ‘‘একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীদের জমায়েত হওয়ার আশঙ্কায় থানার নিরাপত্তার জন্য সাময়িক ভাবে গেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে থানার ভিতরের কাজকর্ম স্বাভাবিক ছিল।’’ তবে এ দিন যাঁরা জরুরি দরকারে থানায় এসেও না ঢুকতে পেরে হয়রান হলেন তার কোনও সদুত্তর মেলেনি থানা কর্তৃপক্ষের কাছে। এমনকী এগরার মহকুমা পুলিশ কর্তা মহম্মদ বৈদুজ্জামানও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
উপযুক্ত পুলিশি তদন্তের আশ্বাস পেয়ে বৃহস্পতিবার মৃতের পরিবার দেহ নিতে কলকাতায় যায়। দলীয় কর্মীর মৃত্যুর জন্য দায়ী অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তি দাবিতে শুক্রবার বিকেলে এলাকায় বিজেপি যুব মোর্চা মিছিল করে। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি কাঁথি সাংগঠনিক যুব মোর্চার সভাপতি অরূপ দাস, কৃষ্ণগোপাল দাস প্রমুখ।
অরূপ বলেন, ‘‘পুলিশ আমাদের নিরপরাধ কর্মী কালিপদকে মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করে মারধর করায় মৃত্যু হয়েছে। ন্যায় বিচারের লড়াইয়ে আমরা ওঁর পরিবারের পাশে আছি। বিচার না পেলে এই আন্দোলনে আরও জোরদার করা হবে।’’