বাবার সঙ্গে আকাশ। উদ্ধারের পর। নিজস্ব চিত্র
স্কুল গিয়েছিল। কিন্তু প্রার্থনা শেষ হওয়ার পর ক্লাসে না গিয়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে পড়েছিল বাড়ি যাবে বলে। কারণ দাদু অসুস্থ। কিন্তু বাড়ি যেতে গিয়ে পথ ভুলে অন্যত্র চলে গিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আকাশ হালদার। ছেলের খোঁজ না পেয়ে পটাশপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাবা। সোমবার আকাশকে উদ্ধার করে তার বাড়ির লোকের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ।
পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ মার্চ, বুধবার গোপালপুর ইউনিয়ন রাখালচন্দ্র বিদ্যাপীঠের ছাত্র আকাশ প্রার্থনা শেষে ক্লাসে ব্যাগ রেখেই নিখোঁজ হয়। তার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্ষুদিরামবাদ গ্রামে। আকাশের বাবা শ্যামচন্দ্র কাজের সূত্রে পটাশপুর থানার অমর্ষি-বাড়শঙ্করপুরে দাদার বাড়িতে থাকেন। দাদার ছেলের সঙ্গেই আকাশকে স্কুলের হস্টেলে রাখা হয়েছিল। বুধবার স্কুল থেকে আকাশ নিখোঁজ হওয়ার পর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের শ্যামচন্দ্র।
পুলিশ সূত্রে খবর, ক্ষুদিরামবাদ গ্রামে আকাশের দাদু এবং মা থাকেন। দাদু বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ থাকায় সে বাড়ি যাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল। সুযোগ বুঝে বুধবার সে স্কুল থেকে পালায়। কলকাতায় যাবে বলে প্রথমে সিংদা মোড়ে ট্রেকারে চাপে। কিন্তু ভুল করে কাঁথি চলে যায়। সেখান থেকে সে কলকাতার বাসে চেপে ধর্মতলায় পৌঁছয়। কিন্তু বাড়ির রাস্তা ভুলে যাওয়ায় সে এই কয়েকদিন ঢাকুরিয়া এবং যাদবপুরে স্টেশনে রাত কাটাচ্ছিল। সোমবার সকালে তাকে মুকুন্দপুরের কাছে দেখতে পান পরিচিত এক ব্যক্তি। তিনি স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশের সহযোগিতায় অভিভাবকেরা গিয়ে আকাশকে উদ্ধার করে পটাশপুরের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
ছেলেকে ফিরে পেয়ে শ্যামচন্দ্র বলেন, ‘‘ওকে ফিরে পেয়ে স্বস্তি পেলাম। নানা দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। তবে ছেলে কিছুটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এখন কোথায় পড়াশোনা করাবো, চিন্তায় রয়েছি।’’ গোপালপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনীল জানা বলেন, ‘‘স্কুলের তরফে আকাশকে খুঁজতে সমস্তরকম সহযোগিতা করা হয়েছে। ও বাড়ি ফিরে আসায় আমরা খুব খুশি। আগামী দিনে স্কুলের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে।’’