প্রতীকী ছবি
রক্ষকই ভক্ষক!
এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলে খোদ এক পুলিশ আধিকারিক এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ার। মুকুল মল্লিক ও গৌরহরি দাস অধিকারী নামে ওই দুই ধৃত ভবানীপুর থানায় কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, মাস কয়েক আগে বেআইনি মদ ব্যবসার অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। ওই মামলা সংক্রান্ত খোঁজ খবর নিতে ভবানীপুর থানার দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী। অভিযোগ, ভবানীপুর থানার এসআই মুকুল ওই মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেন এবং তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন। মহিলার ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়া তাঁর স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার দাবি, তাঁর কিছু অশ্লীল ছবি এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়। এই সব কাজে সহায়তা করেন ভবানীপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার গৌরহরি দাস অধিকারী।
এ ব্যাপারে হলদিয়া মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ পেয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে মহিলা থানার পুলিশ। নির্যাতিতা বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন। এর মধ্যে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক মুকুলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। মামলা দায়ের হওয়ার প্রায় পাঁচ মাস পরে সোমবার পুলিশ লাইন থেকেই মুকুলকে গ্রেফতার করা হয়। গৌরহরিকে ভবানীপুর থানার দেভোগ থেকে ধরা হয়।
এ দিনই দুই ধৃতকে হলদিয়া আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্তকারী অফিসার তথা মহিষাদলের সিআই আদালতের কাছে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেন। বিচারক মুকুলের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত এবং গৌরহরির ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এবার অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হবে।
এ ব্যাপারে হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই মামলায় এক পুলিশ আধিকারিকের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’