WB Panchayat Election 2023

বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে, মনোনয়ন তুলে নিতে বাড়িতে গিয়ে চাপ!

ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, শুভঙ্করকে সপাটে চড় কষাচ্ছেন এক জন। তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন বিজেপি প্রার্থী। পরে রাস্তায় পড়ে গিয়ে শুভঙ্করকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এরা পুলিশ না কি গুন্ডা!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩ ২৩:০৩
Share:

ছবি: ভাইরাল ভিডিয়ো থেকে সংগৃহীত।

মনোনয়ন তুলে নিতে বার বার বিজেপি প্রার্থীকে চাপ দিয়েছে পুলিশ। তাতেও কাজ না হওয়ায় তাঁকে মারধর করেছেন থানার ওসি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল বিজেপি এবং আক্রান্তের পরিবার। ওই বিজেপি প্রার্থীর আত্মীয়দের অভিযোগ, যেখানে থানার ওসিই মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে চাপ দিচ্ছেন, বিরোধী প্রার্থীর গায়ে হাত তুলছেন, সেখানে শাসকদল যদি তাদের আক্রমণ করেন, তবে কার কাছে যাবেন অভিযোগ নিয়ে? ইতিমধ্যে বিজেপি প্রার্থীকে ওসি যে মারধর করছেন, তার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তবে এর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল থানা। সেখানকার ওসির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেছেন বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতো। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, শুভঙ্করকে সপাটে চড় কষাচ্ছেন এক জন। তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন বিজেপি প্রার্থী। এক মহিলা তা দেখে চিৎকার করছেন। পরে রাস্তায় পড়ে গিয়ে শুভঙ্করকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এরা পুলিশ না কি গুন্ডা!’’ সাঁকরাইল ব্লকের তুঙ্গাধুঁয়া গ্রামের বাসিন্দা শুভঙ্কর। সাঁকরাইলের ১২ নম্বর জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী তিনি। তাঁর দাবি, সোমবার দুপুরে এলাকায় হট্টগোল হচ্ছে শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে ছিলেন। সে সময় পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় তাঁর। এর পর তাঁকে পুলিশকর্মীরা বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, ওসি নিজেও মারধর করেছেন। পরিবারের এক সদস্যের কথায়, ‘‘বিজেপি প্রার্থী হয়েছে বলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে চাপ দিচ্ছিল পুলিশ। আগেও ধমকেছে পুলিশ। আজ (সোমবার) মারধরও করল!’’ শুভঙ্করের নিজের কথায়, ‘‘মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আমায় চড় মেরেছে পুলিশ।’’ পরিবার সূত্রে খবর, আহত বিজেপি প্রার্থীকে সোমবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি তুফান মাহাতো।

এই ঘটনায় ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছাড়া এলাকায়। এ নিয়ে ঝাড়গ্রামের তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি প্রসূন ষড়ঙ্গী বলেন, ‘‘ওই এলাকায় তৃণমূল শক্তিশালী। প্রশাসন নিরপেক্ষ হয়েই কাজ করছে। কী কারণে কী ঘটনা ঘটেছে, তা প্রশাসনই বলতে পারবে।’’ এ অন্য দিকে, ঝাড়গ্রাম জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কী ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement