বেআইনি পার্কিং থেকে সড়কে উঠছে লরি। এভাবে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বাড়ছে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
অধিকাংশ লরি-ট্রাক মানছে না যাননিয়ন্ত্রণ বিধি। বাড়ছে দুর্ঘটনার প্রবণতা। জাতীয় সড়কে যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশের উদাসীনতা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন পথচারী থেকে এলাকার মানুষজন।
অভিযোগ, হলদিয়ার ভবানীপুর থানার ব্রজলালচক মোড় এলাকা থেকে সিটি সেন্টার মোড় পর্যন্ত ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে যান নিয়ন্ত্রণ বিধি কার্যত শিকেয় উঠেছে। বিশেষ করে ব্রজলালচক থেকে সিটি সেন্টার পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ির গতিতে কোনও নিয়ন্ত্রণে থাকে না। স্বভাবতই এতে পথ দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। শুধু যান চলাচলের বিধি যে লঙ্ঘিত হচ্ছে তা নয়। জাতীয় সড়কের দু’পাশে সমানতালে অবাধে চলছে বেআইনি পার্কিং। কেবল পার্কিং নয়, পার্কিং করে রাখা লরি-ট্রাকে সমানে চলছে খালাসি আর চালকদের জন্য রান্না। এমনকী পেট্রল পাম্পের কাছে পার্কিং করা ট্রাকেও যাবতীয় সতর্কতা না মেনেই চলছে রান্নবান্না। প্রতিদিন এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত।
কাজের প্রয়োজনে প্রতিদিনই বহু মানুষ মোটর বাইক, সাইকেল নিয়ে এই সড়কে যাতায়াত করেন। তাঁদের অভিযোগ, হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের শিল্প সংস্থাগুলির প্রয়োজনে এই সড়কে দশ চাকার ট্রাকের আনাগোনা প্রচুর। কিন্তু যান বিধি না সেগুলির বেপরোয়া গতিতে চলাচলের ফলে বেশিরভাগ সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় পথচারীদের। যান নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ এবং ভবানীপুর থানার পুলিশকর্মীরা কোনও পদক্ষেপ করে না বলে তাঁদের অভিযোগ।
৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুটি লেন রয়েছে। একটি মেচেদার দিকে যাওয়ার, অন্যটি হলদিয়া আসার। অভিযোগ, বেশিরভাগ সময়ই বিভিন্ন লরি-ট্রাক লেন ভেঙে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারণ নিদির্ষ্ট লেন ধরে গন্তব্যে পৌঁছতে বেশি দূরত্ব পেরোতে হবে। ফলে দূরত্ব কমাতেই লরি-ট্রাকগুলি নিয়ম ভাঙছে। যার ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বাড়ছে। তার উপর রয়েছে জাতীয় সড়কের দু’ধারে বেআইনি পার্কিং। সেই অবস্থাতেই গাড়িতে চলে স্টোভ জ্বালিয়ে রান্না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানার বালাই নেই। নেই পুলিশের নজরদারিও। ফলে যে কোনও সময় বড় অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কায় রয়েছেন জাতীয় সড়ক লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা।
ব্রজলালচকের এক মহিলার কথায়, ‘‘স্বামী বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। প্রতিদিনই মোটরবাইক নিয়ে জাতীয় সড়ক ধরেই হলদিয়া যান। যে ভাবে লরি-ট্রাক নিয়ম না মেনে চলাচল করে তাতে বাড়িতে ফেরা পর্যন্ত চিন্তায় থাকি।’’ ভবানীপুরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘প্রতিদিন সাইকেলে কাজে যাই। রাস্তার ধারে বেআইনি পার্কিংয়ের জেরে প্রাণ হাতে চলাফেরা করতে হচ্ছে। পুলিশ সব দেখেও চুপ।’’
হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ আধিকারিক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি অবিলম্বে খতিয়ে
দেখা হবে।’’