বাজেয়াপ্ত করা গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
কুরবান হত্যার অন্তত ১৫ দিন আগে থেকেই মাইশোরায় আনাগোনা শুরু করেছিল আততায়ীরা। তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, আততায়ীদের গাড়িতে চড়িয়ে মাইশোরার বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে দেখাতেন শ্যামবল্লভপুরের ফেরার নেতা গোলাম মেহেন্দি ওরফে কালু। গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রবিবার শ্যুটার রাজা-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এ দিন আদালতে শ্যুটার রাজা, নবারুণ মিশ্র, মলয় ঘোষ, দীপক চক্রবর্তী ও নিশীথ পালকে তোলা হয়। পুলিশের দাবি, বাজেয়াপ্ত করা গাড়িটিতে করেই ফেরার অভিযুক্ত কালু আততায়ীদের মাইশোরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে পথঘাট চেনাত।
পুলিশ জানিয়েছে, কালু আততায়ীদের পাঁশকুড়া থেকে মাইশোরায় নিয়ে আসা এবং ফের পাঁশকুড়ায় পৌঁছে দিত ওই গাড়িতে করে। গাড়ি চালাত কালু নিজেই। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, স্থানীয় মানুষের যাতে সন্দেহ না হয়, তাই আততায়ীরা মাইশোরা এলাকায় এক একটি ডেরায় এক রাতের বেশি থাকত না।
রবিবার আদালতে রাজা বাদে বাকি চারজনের আইনজীবীই উপস্থিত ছিলেন। রাজার কোনও আইনজীবী না থাকায়, তাকে ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি থেকে আইনজীবী দেওয়া হয়। প্রত্যেক আইনজীবীই আদালতে ধৃতদের জামিনের আবেদন করেন। যদিও বিচারক ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। সরকারি আইনজীবী সফিউল খান বলেন, ‘‘পুলিশ ধৃতদের বয়ান, বাজেয়াপ্ত করা সমস্ত জিনিসপত্র আদালতের সামনে পেশ করেছে। বিচারক ধৃতদের জামিন নাকচ করে দেন। ধৃতদের বয়ান অনুসারে পুলিশ এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।’’