midnapore

মেদিনীপুরের দু’জায়গায় গুলিচালনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত, তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের

কুখ্যাত অপরাধী সুনীল সিংহ ওরফে 'মোটা রাজা'র বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে রবিবার তাকে আদালতে তোলা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২১ ১৬:৪৫
Share:

ধৃত সুনীলের নামে আগে থেকেই অন্তত ২২টি মামলা ঝুলছে বলে জানিয়েছে কোতোয়ালি থানা। —নিজস্ব চিত্র।

মেদিনীপুর শহর ও তার বাইরে একই দিনে গুলিচালনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, ভয় দেখানোর জন্যই শনিবার ওই দু’জায়গায় গুলি চালায় কুখ্যাত অপরাধী সুনীল সিংহ ওরফে 'মোটা রাজা'। সুনীলের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে রবিবার তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।

গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। তাঁর দাবি, “ভয় দেখানোর জন্য গুলি চালিয়েছিল অভিযুক্ত সুনীল সিংহ। ওই ঘটনায় আরও তিন জন জড়িত। তাদের সন্ধান চলছে।” পুলিশ সুপার আরও বলেন, “করোনা পরিস্থিতির কারণে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল সুনীল। আদালতের নির্দেশ নির্দেশ অমান্য করে মেদিনীপুর শহরে ঢুকে গুলি চালায় সে। শহরের মহাতাবপুর এবং জাতীয় সড়কের ধারে একটি ধাবায় গুলি চালিয়ে ভয় দেখিয়ে নিজের দাপট বোঝানোর চেষ্টা করেছিল সুনীল।” পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সুনীলের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল এবং তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, শনিবার মেদিনীপুর শহরের মহাতাবপুর এলাকার পাশাপাশি ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জমুনবালি এলাকায় একটি ধাবাতেও গুলি চলেছে বলে অভিযোগ। ওই ধাবার কর্মী সুমন জানা বলেন, “শনিবার সন্ধ্যার পরে এক জন এসে মালিকের খোঁজ করে। নিজেকে মোটা রাজা বলে পরিচয় দিয়ে রবিবার সকালে এক লক্ষ টাকা দিতে বলে। ধাবা থেকে যাওয়ার সময় গুলিও চালায়। পরে আরও এক জন এসে ভয় দেখিয়ে কাউন্টারের টেবিলে ৫টি বন্দুক রেখে দেয়। সে সময় ধাবায় কোনও খদ্দের ছিল না। তবে গোটা ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।”

সিসিটিভি ক্যামেরায় এ ছবিই ধরা পড়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কোতোয়ালি থানা সূত্রে খবর, সুনীলের নামে আগে থেকেই অন্তত ২২টি মামলা ঝুলছে। এ বার মহাতাবপুর এলাকায় শূন্যে গুলিচালনার অভিযোগ উঠেছে। তবে সুনীলের গুলির নিশানায় কেউ ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন এবং মাদক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। রবিবার শাসকদলকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মেদিনীপুরের একই দিনে দু’জায়গায় গুলি চলেছে। উপনির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য এই চক্রান্ত করা হয়েছে। গত মাসে খড়্গপুর বাজারেও গুলি চলেছিল। এটিএম লুঠের চেষ্টা হয়েছে। পশ্চিবঙ্গ জুড়ে সমাজবিরোধীদের যে উৎপাত চলছে, বিধানসভা নির্বাচনের পরে তা আরও খোলাখুলি ভাবে হচ্ছে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে তোলাবাজি চলছে। কী ভাবে প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীদের বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়ানো সাহস হয়? এই ঘটনা লজ্জাজনক।” যদিও দিলীপের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক তথা ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সৌমেন খান। তিনি বলেন, “শহরের মহাতাবপুরে সন্ধ্যার পর তিনটি বাইকে এসে প্রায় ছ'জন দুষ্কৃতিকারী গুলি চালায়। শহরকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা যারা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিক।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement