রাস্তায় নেমেছে বাস। তমলুকে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে। নিজস্ব চিত্র।
কোথাও রাস্তা আটকে যান চলাচলে বাধা দেওয়া, কোথাও ব্যাঙ্কের সামনে কর্মীদের ঢুকতে না দিতে বিক্ষোভ ইত্যাদি অভিযোগে জেলায় বাম নেতা-কর্মী-সহ ১৮ জন বনধ সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ নন্দকুমার জাতীয় সড়কের কাঁথির মারিশদা থানার দইসাইতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা চক্রধর মেইকাপের নেতৃত্বে অবরোধ হয়। এর ফলে দিঘাগামী পর্যটকেরা যানজটে আটকে হায়রানির মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বাম সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে কমব্যাট ফোর্স নামিয়ে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেওয়া হয়। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য বিষ্ণুহরি মান্না ও হিমাংশু পন্ডাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিন সকাল থেকে এগরা শহরের ত্রিকোণ মোড়ে বাম সমর্থকরা জমায়েত হয়ে সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ অবরোধকারীদের সরাতে গেলে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। একজন বাম সমর্থককে গ্রেফতার করে।
মহিষাদলের কাছে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য পরিতোষ পট্টনায়েক সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্রজলালচকের কাছে অবরোধ করেন সিপিএমকর্মীরা। ফলে যানজট তৈরি হয়। পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয় ও দুই সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করে।
এ দিন সকালে হলদিয়ার ব্রজলালচকে হলদিয়া- মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধে শামিল হন বাম কর্মীরা। অবরোধে হলদিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া একাধিক দূরপাল্লার বাস আটকে যায়। যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের নেতৃত্বে পথ অবরোধ চলে। পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দিলে ফের হাজরা মোড়ে অবরোধ করেন বন্ধ সমর্থকেরা।। হলদিয়ার টাউনশিপেও বন্ধের সমর্থনে মিছিলের সময় দুই সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মহিষাদলে বন্ধ সমর্থকেরা পুরনো ও নতুন বাসস্ট্যান্ডে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে খুলতে বাধা দেয়। পুলিশ গিয়ে বন্ধ সমর্থনকারীদের সরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় জেলা ডিওয়াইএফ-এর সম্পাদক পরিতোষ পট্টনায়ক সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।