Illegal Constructions at Ghatal

পুর-অনিয়মের তদন্তে পুলিশ, শুরু পরিদর্শন

পুলিশের তরফে ঘাটাল শহরে রাস্তার ধারের কতগুলি বেআইনি নির্মাণ হয়েছে, কবে হয়েছে, নির্মাণে কারা যুক্ত তার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল     শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪ ০৮:১৭
Share:

পুলিশের চিহ্নিত করা বেআইনি পার্কিং। ঘাটালের কলেজ মোড়ে। নিজস্ব চিত্র।

ঘাটাল শহর-সহ গ্রামীণ এলাকায় কোথায় সরকারি জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে, তার পরিদর্শনে নামল পুলিশ। একই সঙ্গে পুর-এলাকায় আইন না মেনে বাড়ি তৈরি থেকে বেআইনি পার্কিংয়ের খোঁজও শুরু করল পুলিশ। পরিদর্শনের পর তৈরি হচ্ছে তালিকাও। পাশাপাশি ঘাটালে রাস্তার দু’ধারের জমি ফাঁকা করতেও তৎপর হয়েছে পূর্ত দফতরও।

Advertisement

ভোটের ফল প্রকাশের পর পরই ঘাটাল শহরে সরকারি জমির উপর বেআইনি নির্মাণ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। সেখানে ওই সব নির্মাণে ঘাটাল শহরে শাসক দলের একাংশ জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। ঘাটাল শহরে কুশপাতা এলাকায় তৃণমূলের ফল খারাপের পিছনে রাতারাতি রাস্তার দু’ধারে গজিয়ে ওঠা বেআইনি নির্মাণই মূল কারণ বলে দলীয় তদন্তে উঠে আসে।

এরপরই ওই সমস্ত নির্মাণ সরিয়ে দিতে উদ্যোগী হয় পূর্ত দফতর। এই আবহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দখলদারি নিয়ে কড়া বার্তার পরই ঘাটালের বিষয়টি গুরুত্ব পায়। ঘাটালেও হইচই শুরু হয়। সক্রিয় হয় প্রশাসনও। সরকারি জমির উপর বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

পুলিশের তরফে ঘাটাল শহরে রাস্তার ধারের কতগুলি বেআইনি নির্মাণ হয়েছে, কবে হয়েছে, নির্মাণে কারা যুক্ত তার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে ঘাটাল পুর এলাকায় কোথায় কোথায় সরকারি জমির উপর নির্মাণ কিম্বা কাঠামো হয়েছে, তার তথ্যও নিচ্ছে পুলিশ। একই সঙ্গে ঘাটালে মূল রাস্তার ফুটপাত দখলের বিষয়টি নজরদারি চলাচ্ছে। অন্যদিকে বহুতলের বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। ঘাটালে পুরসভা কত তলা পর্যন্ত বাড়ির অনুমোদন দেয় এবং ঘাটালে কতগুলি তার চেয়ে বেশি তলযুক্ত বাড়ির অনুমোদন রয়েছে কি না, থাকলে কোথা থেকে অনুমোদন মিলেছে, তার তথ্য সন্ধানও নিচ্ছে পুলিশ। শুধু ঘাটাল নয়। খড়ার পুর এলাকাতেও চলছে তথ্য সংগ্রহ,

ঘাটাল শিলাবতী নদী-সহ একাধিক খালের দু’পাড়েও অসংখ্য বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। কোথাও কোথাও সরকারি জমির উপর দোতলা, তিন তলা পর্যন্ত বাড়ি তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া অসংখ্য দোকান গজিয়ে উঠেছে। নদীর পাড়ের বেআইনি নির্মাণেও খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে পুলিশ।একমাস পর মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরই পদক্ষেপ করা হবে। জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, “সরকারি জমির উপর ঘাটালে কোথায় কোথায় বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে, তার তালিকা তৈরি হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement