বড় দিঘিতে বোটিংয়ের সময় প্রশাসনিক নজরদারি। নিজস্ব চিত্র।
লকডাউনে ঘরবন্দি জেলাবাসী বড়দিন হয়েছেন পিকনিকস্পটমুখো। কিন্তু প্রতি বছরের মতো এ বছর প্রায় সব জায়গাতেই ভিড় ছিল কিছুটা হলেও কম। আবার, কোথাও কোথাও বনভোজনে মেতে থাকা জনতাকে ডিজের তাণ্ডব চালানো থেকে বিরত রাখল পুলিশ।
বড়দিনে ভিড় জমে তমলুক শহর সংলগ্ন স্টিমার ঘাট, আবাসবাড়ি চর, দক্ষিণচড়া শঙ্করআড়ায় বা শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের জামিত্যা, খারুই, সোয়াদিঘি, ধলহরা-সহ রূপনারায়ণ তীরের বিভিন্ন স্থানে। এবার করোনা আবহে সেই ভিড় অনেকটাই ফিকে। স্টিমার ঘাটে পিকনিক দলের সংখ্যা কম থাকলেও পুলিশের তরফে নজরদারির ব্যবস্থা ছিল। পিকনিক করতে বাসিন্দাদের কাছে করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রচার চালানোর পাশাপাশি, শব্দ দূষণ রুখতে ডিজে-মাইকের দাপট বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ।
থার্মোকলের ব্যবহার রুখতে তমলুকের কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ৩০ জন সদস্য আগের বছরের মতো এ বারও স্টিমারঘাট এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার চালান। তাঁরা শালপাতার থালা-বাটি বিতরণও করেন। করোনা সতর্কতায় দেওয়া হয়েছে মাস্কও। সচেতনতা প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন তমলুক পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন।
শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের জামিত্যা, খারুই ও সোয়াদিঘি সহ রূপনারায়ণ তীরের চরে পিকনিক দলের লোকজনদের দেখা গেলেও অন্য বছরের তুলনায় ভিড় অনেক কম ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তমলুক থানার পুলিশ জানিয়েছে, তমলুক শহর-সহ রূপনারায়ণ তীরে করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়েছে। ডিজে ও প্রবল শব্দে মাইক বাজানো বন্ধ করতে পদক্ষেপ করা হয়েছে।
হলদিয়ায় বালুঘাটা সানসেট ভিউ পয়েন্টে ডিজে বন্ধ রাখতে ছিল পুলিশ-সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুরসভার নিরাপত্তা রক্ষীদের নজরদারি। পিকনিক স্পটে এ দিন প্রশাসনের উদ্যোগে বাজানো হয়েছে রবীন্দ্র সঙ্গীত। প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ এই এলাকায় এ দিন এসেছিলেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর। মহিষাদল রাজবাড়িতেও কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। সেখানে এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মহিষাদলের বিডিও যোগেশচন্দ্র মণ্ডল, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস এবং সহ- সভাপতি তিলক চক্রবর্তী। বিডিও বলেন, ‘‘পিকনিক করতে আসা মানুষজনকে মাইকের তীব্রতা কমাতে বলা হয়। রাজবাড়ির বড় দিঘিতে বিনা লাইফ জ্যাকেটে বোটিং করতে দেওয়া হয়নি।’’