সোমবার গড়বেতা ১ ব্লকে আবাস যোজনার তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র
শুধু পাকাবাড়িই নয়, উপভোক্তার পরিবারে বাইক, ফ্রিজ আছে কিনা তাও দেখছেন আবাস যোজনার তথ্য যাচাইয়ে নিযুক্ত সরকারি কর্মীরা। পঞ্চায়েত স্তরে উপভোক্তার পরিবারের ১৫ দফা বিষয় যাচাই করে নির্দিষ্ট ‘চেকলিস্টে’ হ্যাঁ বা না লিখে তাঁরা জমা দিচ্ছেন ব্লক স্তরে। ব্লক স্তরে নিযুক্ত আধিকারিকেরা খতিয়ে দেখছেন সেই তালিকা।
‘আবাস প্লাস’ তালিকায় নাম থাকা বাড়ির প্রাপকদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত স্তর থেকে। পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মীদের যাচাইয়ের কাজে যুক্ত করা হয়েছে। একদফায় তাঁরা বাড়ির ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় চলছে অন্য তথ্য যাচাই। এই কাজের জন্য রাজ্য প্রশাসন থেকে ১৫ দফা বিষয় উল্লেখ করে নির্দিষ্ট ‘চেক-লিস্ট’ করে দেওয়া হয়েছে। সেই ফর্ম হাতে তালিকাভুক্ত পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার কাজ করছেন ব্লক প্রশাসন নিযুক্ত কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, উপভোক্তাদের পরিবারে গিয়ে তাঁরা শুধু পাকাবাড়ির খবরই নিচ্ছেন না, পরিবারে দুই, তিন, চার চাকার মোটরযান আছে কিনা তারও খোঁজ নিয়ে নির্দিষ্ট ঘরে 'হ্যাঁ' বা 'না' লিখছেন। এমনকি বাড়িতে কৃষিকাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার আছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে। উপভোক্তার পরিবারে ফ্রিজ, ল্যান্ডলাইন ফোন সংযোগ থাকলে, তারও খোঁজ নিয়ে নির্দিষ্ট ঘরে লেখা হচ্ছে।
আবাস যোজনার তথ্য যাচাইয়ের কাজে নজর দেওয়া হচ্ছে কৃষিজমির বিষয়টিকেও। যাচাইয়ের কাজে নিযুক্ত কর্মীরা খোঁজ নিচ্ছেন, উপভোক্তার সেচসেবিত কৃষিজমির পরিমাণ আড়াই একর বা তার বেশি কিনা, এমনকি সেচের কাজে ব্যবহৃত কোনও সরঞ্জাম আছে কিনা তাও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এই কাজে যুক্ত এক সরকারি কর্মী বললেন, ‘‘অন্যান্য তথ্য ঠিকঠাক পাওয়া গেলেও, অনেক পরিবার সেচসেবিত কৃষিজমির তথ্য জানাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাতে যাচাইয়ের কাজে দেরি হচ্ছে।’’
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত স্তরে একসপ্তাহের মধ্যে তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ করে ব্লক স্তরে 'চেকলিস্ট' জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আবাস যোজনার তথ্য যাচাইয়ের কাজ দ্রুতগতিতে করতে বলা হয়েছে নিযুক্ত যাচাইকারী দলগুলিকে।’’