—প্রতীকী চিত্র।
সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান পানীয় জল। বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে রাজ্য সরকার। ভোট এলেই পানীয় জল, রাস্তা, বিদ্যুৎ ও আবাস শাসক দলের প্রচারের হাতিয়ার হয়ে ওঠে। আর একটি পঞ্চায়েত ভোট দরজায় কড়া নাড়ছে। অথচ এখনও কোলাঘাট ব্লকে বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ পুরোদমে চালুই হয়নি। ক্ষুব্ধ কোলাঘাটবাসী।
কোলাঘাট ব্লকে পানীয় জল সরবরাহে ২০১৬ সালে জল প্রকল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় পিএইচই দফতর। বরাদ্দ করা হয় ১৬৭ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা।রূপনারায়ণ নদ থেকে জল তুলে পরিস্রুত করে ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি বাড়ি সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়। বছর তিনেক আগে ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি করে বড় রিজার্ভার তৈরি করা হয়।এছাড়াও অতিরিক্ত আরও দুটি রিজার্ভার তৈরি করে পিএইচই। ব্লক জুড়ে মূল পাইপলাইন পাতার কাজ শেষ হয়ে যায় বছর তিনেক আগে। ২০২১ থেকে শুরু হয় বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ।
অভিযোগ, কোলাঘাটের প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকাতেই বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ এখনও শেষ হয়নি। এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, রূপনারায়ণ নদ সংলগ্ন গ্রামগুলিতে জল পর্যাপ্ত পাওয়া গেলেও দূরবর্তী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে জলের চাপ খুবই কম। প্রয়োজন মতো জল ধরতে মানুষজনকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। আগে সকালে ৩ ঘণ্টা এবং বিকেলে ১ ঘণ্টা পানীয় জল সরবরাহ করা হত। এখন সকাল ও বিকেলে একঘণ্টা করে পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে।
ভোগপুর, দেড়িয়াচক, সাগরবাড় ও বৃন্দাবনচকের একাংশ এবং সিদ্ধা ১ ও ২ এলাকার একাংশে পানীয় জলের সঙ্কট তীব্র। সাত বছরেও বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। ভোটের আগে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
কোলাঘাট জল প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছে এসইউসি। দলের কোলাঘাট ব্লক কমিটির নেতা নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,"কোলাঘাটে জল প্রকল্প আজও বাস্তবায়িত হল না। অনেক বাড়িতে জলের কল বসেছে। কিন্তু জল পড়ছে না। রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষিত হয়নি। ভোটবাক্সে এর প্রভাব পড়বে।
সমস্যার কথা স্বীকার করে তৃণমূলের কোলাঘাট ব্লক সভাপতি অসীম মাজী বলেন, "জল প্রকল্প পুরোদমে চালু করতে কাজ চলছে। কোথাও জলের অভাব নজরে এলে আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে সাব মার্সিবল পাম্প বসানোর ব্যবস্থা করব।’’