প্রতীকী ছবি।
এতদিন শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য ও আমপান দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ তোলার পাশাপাশি পড়ছিল পোস্টার। এ বার বাদ গেলেন না বিরোধীরাও।
মহিষাদল ব্লকের বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্যের বিরুদ্ধে আমপানের ক্ষতিপূরণে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়ল এলাকায়। মহিষাদল ব্লকের বেতকুন্ডু পঞ্চায়েতের তেঁতুলবেড়িয়া এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর বেতকুন্ডু পঞ্চায়েতের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য তপন মণ্ডল ক্ষতিপূরণের তালিকায় স্বজনপোষণ করেছেন।তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নিজের নামে এবং নিজের শ্বশুর ও শ্যালিকার নাম তালিকায় তুলে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েছেন। এই অভিযোগ তুলেই দেওয়া হয়েছে ফ্লেক্স ও পোস্টার। শুক্রবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, কয়েক জায়গায় ওই পোস্টার সাঁটানো রয়েছে।
অভিযুক্ত তপনের যুক্তি, ‘‘প্রথমে নির্দেশিকায় সেরকম কোনও নিয়ম দেওয়া ছিল না। শ্বশুর ও শ্যালিকা ইটভাটায় কাজ করেন। দু’জনেরই মাটি বাড়ি।আমপান ঝড়ে তাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই ক্ষতিপূরণের তালিকায় নাম তোলা হয়েছিল। নিজের নামে যে টাকা রয়েছে প্রশাসন চাইলে তা ফিরিয়ে দেব।’’
জায়গা বা বাড়ি না থাকলেও আমপানের ক্ষতিপূরণের তালিকায় নাম তোলায় কোনও সমস্যা হয়নি। এমন অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের আমদাবাদ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। পঞ্চায়েতের ১৭০ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি আমপান ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় নিজের মায়ের নামে টাকা নিয়েছেন বলে বিডিওর কাছে অভিযোগ করেছেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল। স্থানীয় সূত্রে খবর, অর্পণ সাঁতরা নামে ওই বুথ সভাপতির মা দেবী সাঁতরা ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন। যদিও তাঁর নামে কোন জায়গা ও বাড়ি নেই।
অভিযুক্ত বুথ সভাপতির সাফাই, ‘‘একটি মাটির বাড়িতে মা-বাবা বাস করেন। তবে মায়ের নামে জায়গা বা বাড়ি কিছুই নেই। সব রয়েছে বাবার নামে। অ্যাকাউন্টে গোলমা্লের জেরে এমনটা হয়েছে।’’ নন্দীগ্রাম ২ এর বিডিও সুরজিৎ রায় বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘‘শাসক দলের নেতারা কী ভাবে টাকা নিয়ে পকেটে ঢোকাবে সেই চিন্তায় ব্যস্ত। আমাদের দলে এ সব স্বজনপোষণ বরদাস্ত করা হবে না।’’
অন্যদিকে, কাঁথি শহরে আমপান ক্ষতিপূরণ নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে তৃণমূলও। শুক্রবার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর প্রকাশ মাইতিকে তৃণমূলের কার্যালয়ে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মহিলারা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড়ের পরে ত্রিপল চাইতে গিয়ে তাঁদের অপদস্থ হতে হয়েছে। প্রকাশ মাইতি বলেন, ‘‘ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আনার বিরুদ্ধে এমন চক্রান্ত করা হচ্ছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই সরকারি ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন।’’