প্রস্তুতি: আগামী বুধবার থেকে চলবে লোকাল ট্রেন। তৈরি হচ্ছে মেদিনীপুর স্টেশন। ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রবেশপথে থাকবে ব্যারিকেড। দূরত্ব বিধি কার্যকরে কাটা হচ্ছে গণ্ডিও। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
এখনই চলছে না খড়্গপুর-টাটা শাখার লোকাল ট্রেন। রেল সূত্রে দাবি, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এই শাখায় লোকাল চালানোর প্রস্তাব এখনও দেয়নি রাজ্য।
লকডাউনের আগে টাটা-খড়্গপুর শাখায় দিনে ৮ জোড়া লোকাল ট্রেন চলত। খড়্গপুর থেকে আপ লোকালগুলি নিমপুরা, কলাইকুণ্ডা, খেমাশুলি, সরডিহা, বাঁশতলা, ঝাড়গ্রাম, খাটকুরা হল্ট, গিধনি, কানিমহুলি, চাকুলিয়া, কোকপাড়া, ধলভূমগড়, ঘাটশিলা, গালুডি, রাখামাইনস, আসনবনি হয়ে টাটানগর যেত। ডাউন লোকালগুলি টাটানগর থেকে ওই সব স্টেশন ছুঁয়ে খড়্গপুরে যেত। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলির যোগাযোগ ছিল সহজ। এই লোকালের ভরসায় কর্মস্থলে যেতেন অনেকেই। লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় সড়কপথে গন্তব্যে পৌঁছতে দীর্ঘ পথ যেতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। খুবই সমস্যা হচ্ছে।
ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা ঝুলন হাটুই বেসরকারি মোবাইল সংস্থার খড়্গপুরের দফতরের কর্মী। তিনি বলেন, ‘‘লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় বাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সময়ে অফিসে হাজিরায় সমস্যায় পড়ছি।’’ খড়্গপুরের বাসিন্দা ইতি অধিকারী ঝাড়গ্রামের একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘অফিস টাইমে বাস মেলে না।’’ খড়্গপুরের বাসিন্দা ঝাড়গ্রামের এক সমবায় ব্যাঙ্কের কর্মী অমর মৈত্রের কথায়, ‘‘‘জঙ্গলমহলকে দুয়োরানি করে রাখার কারণটা বোধগম্য হচ্ছে না। অন্য শাখায় লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে। অথচ এত নিত্যযাত্রী থাকা সত্ত্বেও এই শাখায় লোকাল চালানোর সিদ্ধান্তই হল না।’’
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ জানান, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে যেখানে-যেখানে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে, আমার সেখানেই ট্রেন চালাব।’’ হতাশ নিত্যযাত্রীদের একাংশ ওই শাখায় লোকাল চালানোর ব্যাপারে ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রমের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। কুনার বলেন, ‘‘আমরাও চাই যাত্রী স্বার্থে ট্রেন চলুক। সেই মতো রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’’