পথ-আটকে: যাতায়াতের পথে বস্তা। খড়্গপুর স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র
‘এ ওয়ান’ খড়্গপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে যত্রতত্র ছড়ানো থাকে বস্তা। এই বস্তা এড়িয়েই যাতায়াত করতে হয় রেলযাত্রীদের। শিকেয় যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্য থেকে নিরাপত্তা।
কখনও ট্রেন থেকে নামার মুখে বস্তায় হোঁচট খেতে হয় যাত্রীদের। আবার কোথাও প্ল্যাটফর্ম জুড়ে বস্তা পড়ে থাকায় যাত্রীদের লাইন পড়ে যায়। টিকিট পরীক্ষক ও রেল সুরক্ষা বাহিনীর কর্মীদের চোখের সামনেই সব ঘটলেও তাঁরা উদাসীন বলে অভিযোগ।
দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী খড়্গপুর স্টেশনকে বিশ্বমানের স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশন দিয়ে দিনে কয়েক হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। অথচ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম জুড়ে ছড়িয়ে থাকে পিজবোর্ড, সব্জি, লোহালক্কড় বোঝাই বস্তা, মাছের পাত্র-সহ নানা পণ্য। সমস্যা বেশি ৪ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। ঘাটশিলা প্যাসেঞ্জারের যাত্রী রমেশ অগ্রবালের কথায়, “আমি হামেশাই ট্রেনে খড়্গপুরে যাতায়াত করি। প্রতিদিন দেখি ট্রেনের দরজার সামনে বড়-বড় বস্তা নিয়ে কিছু মহিলা ও লোক দাঁড়িয়ে রয়েছে। খড়্গপুর স্টেশন এলেই ওঁরা বস্তাগুলো ট্রেন থেকে নামায়। তারপরে যাত্রীরা নামার সুযোগ পায়। রেল সব জেনেও কেন ব্যবস্থা নেয় না এটাই প্রশ্ন।”
যাত্রীদের একাংশের দাবি, ঘটনার পিছনে রেলের কিছু অসাধু টিকিট পরীক্ষক ও রেল সুরক্ষা বাহিনীর কর্মীদের মদতেই এই কাজ চলে। দিনের পর দিন এ ভাবেই যাত্রীদের হোঁচট খেয়ে চলতে হচ্ছে। রেলযাত্রী মালবিকা পণ্ডিতের অভিযোগ, “প্ল্যাটফর্মে চারিদিকে বস্তাগুলো পড়ে রয়েছে। ট্রেনের মহিলা কামরায় উঠব। ঠিক কোথায় সেই কামরা থামবে জানি না। এই বস্তা পেরিয়ে ট্রেনে ওঠার সময় তাড়াহুড়ো করলেই বিপদ।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘টিকিট পরীক্ষক ও রেল সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের একাংশকে টাকা নিয়ে ওদের ছেড়ে দিতে দেখি। কী আর বলব!”
যাত্রীদের ভোগান্তির কথা অজানা নয় রেল কর্তৃপক্ষেরও। রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ইনস্পেক্টর কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, “একজন যাত্রীর টিকিটে যে পরিমাণ পণ্য পরিবহণ করার কথা তার অতিরিক্ত পণ্য দেখলে জরিমানা করা হয়। এ নিয়ে অভিযানও চলছে। স্টেশনে এ ভাবে বস্তা ফেলে রাখলে পদক্ষেপ করব।”