—প্রতীকী চিত্র।
আবাস যোজনার সমীক্ষা করতে গিয়ে ‘আক্রান্ত’ হলেন সরকারি কর্মীরা। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় বিডিও তরফে নন্দীগ্রাম থানায় উপভোক্তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। নিরাপত্তা চেয়ে বিডিওকে চিঠি দিয়েছেন সরকারি কর্মীরাও।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আবাস যোজনার সমীক্ষক দলের প্রতিনিধিদের শারীরিক নিগ্রহের সম্মুখীন হতে হয়। শুনতে হয় কুকথা। নিগ্রহের হাত থেকে বাদ যাননি সমীক্ষক দলে থাকা এক মহিলাও। সম্প্রতি নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের কালীচরণপুর পঞ্চায়েতের গড় চক্রবেড়িয়ায় আবাস যোজনার সমীক্ষা করতে গিয়েছিলেন পঞ্চায়েতের তিন সদস্যের সমীক্ষক দল। এলাকার বাসিন্দা পারুল সাহা, সাইফুল শা-সহ বেশ কয়েকজন তাঁদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। প্রাণনাশের হুমকিও নাকি দেওয়া হয়। এর পরে গ্রাম পঞ্চায়েতে আসাও ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিযোগের পত্রে দাবি করেছেন সমীক্ষক দলের সদস্যরা। তবে এ নিয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে বিডিও সৌমেন বণিক বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত কর্মীদের অভিযোগ পেয়ে নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি, আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।’’
অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাও করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তরা সকলেই অধরা। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। নন্দীগ্রামে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য তথা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শেখ শামসুল ইসলাম বলেন, ‘‘যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তাকে দল কখনওই সমর্থন করে না।। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’ বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাদ পাল পাল্টা বলেন, ‘‘আবাস যোজনা তালিকায় সঠিকভাবে করতে গেলে সরকারি কর্মীরা আক্রান্ত হবেন এটাই তো স্বাভাবিক। তৃণমূলের আমলে সঠিক কাজ করাটাই সরকারি কর্মীদের অপরাধ।’’ শীঘ্রই আবাস তালিকা নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নন্দীগ্রাম বিজেপি নামবে বলে জানান তিনি।