বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
একশো দিনের কাজে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে খন্যাডিহি পঞ্চায়েতের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, রায়চক বুথ এলাকায় একশো দিনের কাজে মাটি কাটা হচ্ছিল। সোমবার কাজের জায়গা পরিমাপ করতে গেলে পঞ্চায়েতের জিআরএস পলাশ পাঁজাকে শ্রমিকেরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী দিনে একজন ৬২ সিএফটি মাটি কাটলে পাবেন ২০৪ টাকা। কিন্তু ওই পরিমাণ মাটি কাটলেও কম টাকা দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধান। মঙ্গলবার ওই কাজের এলাকায় ফের মাপজোক করতে গেলে পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক, জিআরএস এবং এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টকে শ্রমিকেরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পঞ্চায়েত প্রধান-সহ সমস্ত কর্মীকে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখান। পরে কোলাঘাট বিট হাউস থানার পুলিশ গিয়ে সকলকে উদ্ধার করে।
পঞ্চায়েতের তরফে দাবি, ওই প্রকল্পে শ্রমিকেরা দিনে ৬২ সিএফটি’র কম মাটি কাটছিলেন। তাই দৈনিক ১৫১ টাকা শ্রমিকদের বরাদ্দ হওয়ার কথা। পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী অরূপ পাঁজা বলেন, ‘‘কাজের সঠিক পরিমাপ অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হচ্ছে। আসলে পঞ্চায়েতের বদনাম করতে সিপিএম, আর বিজেপি শ্রমিকদের খেপিয়ে এই সব কাণ্ড করছে।’’
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে এই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। এ দিনের ঘটনা নিয়ে কোলাঘাটের বিডিও মদন মণ্ডল বলেন, ‘‘কম মাটি কাটলে নির্ধারিত ২০৪ টাকা মজুরি পাওয়া সম্ভব নয়। খন্যাডিহি পঞ্চায়েতের কর্মীদের মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।’’
কোলাঘাটের বাম বিধায়ক ইব্রাহিম আলি বলেন, ‘‘শ্রমিকদের বঞ্চিত করছে পঞ্চায়েতগুলি। এ দিনের ঘটনা সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’’ বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক দেবব্রত পট্টনায়ক বলেন, ‘‘খন্যাডিহিতে তৃণমূলের ৬টি গোষ্ঠী রয়েছে। কে কতাটা লুট করবে তার প্রতিযোগিতা চলছে। এদিনের ঘটনা তারই ফল।’’