ফাইল চিত্র
নাম চুরি করে আবাস যোজনার টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল নন্দীগ্রামে।
নন্দীগ্রাম-২ নম্বর ব্লকের আমদাবাদ-১ নম্বর অঞ্চলের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই অঞ্চলের অন্তর্গত ১৬০ নম্বর বুথের অধিবাসী নমিতা জানার আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে। আবাস যোজনার তালিকায় দেখা যাচ্ছে বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ইতিমধ্যেই নমিতা জানার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ওই টাকা আদৌ তাঁর অ্যাকাউন্টে আসেনি বলে নমিতা জানার দাবি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল ঘনিষ্ঠ নমিতা জানা নামে আর এক জনকে আবাস যোজনার ওই টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। যিনি টাকা পেয়েছেন, তাঁর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় নামও ছিল না। স্থানীয় প্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্যের কারসাজিতেই এই ঘটনা বলে প্রকৃত প্রাপক নমিতা জানা অভিযোগ করছেন।
তিনি বলেন, ‘‘হঠাৎ জানতে পারি যে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকেছে। কিন্তু আদৌ আমার অ্যাকাউন্টে ওই টাকা আসেনি। পরে জানলাম অন্য নমিতা জানা টাকা পেয়েছেন। আমি চাই আমাকে দ্রুত আবাস যোজনা বাড়ি দেওয়া হোক।’’ তিনি পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও, এবং জেলাশাসকের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন।
ঘটনা স্বীকার করেছেন আমদাবাদ-১ পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রাবণী হালদার গায়েন। তিনি বলেন, ‘‘ভুল হয়েছে। দু’জন নমিতা জানা থাকায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ের টাকা এলে যাতে প্রকৃত প্রাপক তা পান তার বন্দোবস্ত করা হবে। যিনি টাকা পেয়েছেন তিনি যাতে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা না পান তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রথম কিস্তির টাকা তাঁর কাছ থেকে ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ এই ঘটনায় কটাক্ষ করে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘‘আসলে এক নমিতা কাটমানি না দেওয়ায় তাঁকে তৃণমূলের নেতারা ঘর দেননি। দিয়েছেন সেই নমিতাকে যিনি কাটমানি দিয়েছেন! এখন ধরা পড়ায় ভুল স্বীকার করতে হচ্ছে তৃণমূল প্রধানকে।’’