অবৈধ বালি কারবার, মন্ত্রীর নির্দেশে শুরু অভিযান

আড়ালে অবৈধ উপায়ে মোরাম-বোল্ডার পাচার হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

চন্দ্রকোনা রোড শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২১ ০৭:২৮
Share:

বেপরোয়া: যন্ত্র দিয়ে কংসাবতী থেকে বালি তোলা চলছেই। মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

মন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেই বালি-মোরাম নিয়ে নড়েচড়ে বসল গড়বেতা ৩ (চন্দ্রকোনা রোড) ব্লক প্রশাসন। শুরু হল অভিযানও। পুনর্গঠন করা হল ব্লক টাস্ক ফোর্সও।

Advertisement

কয়েকদিন আগেই চন্দ্রকোনা রোডের বিদ্যাসাগর মঞ্চে ব্লকের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে অবৈধ বালি-মোরাম-বোল্ডার কারবারের বিরুদ্ধে ব্লক প্রশাসনকে কড়া হতে বলে যান জলসম্পদ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। বিডিও, বিএলআরও, পুলিশ-সহ পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রীর নিদান ছিল, যে ভাবেই হোক অবৈধ বালি-মোরাম কারবার বন্ধ করতেই হবে। জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে চন্দ্রকোনা রোড ব্লক প্রশাসন। বুধবার রাতে চন্দ্রকোনা রোডের কদমডিহা রেলগেটের কাছে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত বালি বোঝাই করা লরি ও ডাম্পার মিলিয়ে ৯ টি গাড়ি আটক করে প্রশাসনের একটি দল। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন, পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ ভুঁইয়া ও কৃষি কর্মাধ্যক্ষ জ্ঞানাঞ্জন মণ্ডল। গাড়িগুলি আটক করে গাড়ি ও বালির মালিকদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রশাসনের উদ্যোগে আমশোল ও রসকুণ্ডু অঞ্চলের মোরাম ও বোল্ডার খাদানগুলির উপর নজরদারি চালানো হয়েছে। আড়ালে অবৈধ উপায়ে মোরাম-বোল্ডার পাচার হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া হয়।

শুক্রবার গড়বেতা ৩ পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে এক বৈঠকে ব্লক টাস্ক ফোর্স পুনর্গঠন করা হয়েছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বৈঠকে বিডিও অমিতাভ বিশ্বাস, বিএলআরও সোমনাথ দাস, পুলিশ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষ, ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত গুলির প্রধানরা ছিলেন। ২০১৮ সালে যে ব্লকস্তরীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছিল, তার পুনর্গঠন করে ফের অভিযানে নামা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কাজে পঞ্চায়েত প্রধানদেরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে বলে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা নির্দেশ দেন।

Advertisement

পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ ভুঁইয়া বলেন, ‘‘ব্লকের কোথাও খাদান থেকে অবৈধভাবে বালি, মোরাম, বোল্ডার তোলা, আর তা ওভারলোড করে গাড়িতে পাচার করা দেখতে পেলেই কড়া প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হবে। এর সঙ্গে যুক্তদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। ইতিমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। কয়েকটি বালি গাড়ি আটকও হয়েছে।’’ বিএলআরও সোমনাথ দাস বলেন, ‘‘অবৈধ বালি-মোরাম কারবার আটকাতে নজরদারি বাড়িয়ে অভিযান চলবে। ব্লক টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement