Pollution

সংস্কারে দেড় কোটি, জঞ্জাল ফেলা বন্ধ হবে কি!

সংস্কারের পর ফের খালে জঞ্জাল ফেলা বন্ধ করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোলাঘাট শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২০ ০০:৪৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

মেচেদা-বাঁপুর খাল সংস্কারে এক কোটি ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করল সেচ দফতর। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ। শীঘ্রই শুরু হবে কাজ। কিন্তু সংস্কারের পর খালে আবর্জনা ফেলা আদৌ বন্ধ করা যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

Advertisement

মেচেদা এলাকায় জঞ্জাল ফেলার স্থায়ী ভ্যাট নেই। তাই সংস্কারের পর ফের খালে জঞ্জাল ফেলা বন্ধ করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। মেচেদা রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাঁপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছ’কিলোমিটার দীর্ঘ নিকাশি খালটি স্থানীয়দের কাছে বাঁপুর খাল নামে পরিচিত। খালটি রূপনারায়ণ নদে মিশেছে। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই, শান্তিপুর ১ ও ২ পঞ্চায়েতের ২৫ থেকে ৩০টি গ্রামের বর্ষার জল এই খাল দিয়ে রূপনারায়ণে পড়ে। তা ছাড়া কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই মিশ্রিত বর্জ্য বাঁপুর খাল দিয়েই রূপনারায়ণে পড়ে। ছাই মিশ্রিত জল খালে পড়ায় ঘন ঘন মজে যায় খালটি। ফলে খালের একটা অংশ ভরে গিয়ে জমির আকার নিয়েছে। স্থানীয় দোকানদার থেকে বাসিন্দারা সেখানেই নোংরা আবর্জনা ফেলায় দূষণ ছড়াচ্ছে গোটা এলাকায়।

কৃষক সংগ্রাম পরিষদ ও কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ কমিটির যৌথ আন্দোলনে বছর চারেক আগে সেচ দফতর খালটির কিছু অংশ সংস্কার করে। কিন্তু তারপর আর সংস্কার হয়নি। সম্প্রতি খালের ৪ কিলোমিটার অংশ সংস্কারে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে সেচ দফতর। রূপনারায়ণের দিক থেকে ওই কাজ শুরু হবে। মেচেদার দিকে দু’কিলোমিটার অংশ আপাতত সংস্কার হবে না বলে সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাঁপুর খালের চার কিলোমিটার অংশ সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। দরপত্র ডাকা হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’’

Advertisement

কিন্তু খাল সংস্কারের পর সেখানে জঞ্জাল ফেলা বন্ধ না করা গেলে খালের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছেই। কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ কমিটির মুখপাত্র নারায়ণ চন্দ্র নায়েক বলেন, ‘‘সেচ দফতরের উদ্যোগে আমরা খুশি। কিন্তু খালে জঞ্জাল ফেলা বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।’’

শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শোভা সাহু বলেন, ‘‘মেচেদা বাজার এলাকায় বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহের কাজ শুরু করার ব্যাপারে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। পাশাপাশি খালে আবর্জনা যাতে না ফেলা হয়, সে জন্য সচেতনতা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement