ইট বানানো শিখতে অঞ্জু, মিতারা হায়দরাবাদের পথে

এ বার ইট তৈরি করবে স্ব-সহায়ক দল। প্রশিক্ষণ নিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের তিনটি স্ব-সহায়ক দলের মহিলা সদস্যদের হায়দরাবাদে পাঠানো হচ্ছে। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “জেলার তিনটি স্বসহায়ক দল ইট তৈরির প্রশিক্ষণ নিতে হায়দরাবাদে যাচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৬ ০১:১৫
Share:

এ বার ইট তৈরি করবে স্ব-সহায়ক দল। প্রশিক্ষণ নিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের তিনটি স্ব-সহায়ক দলের মহিলা সদস্যদের হায়দরাবাদে পাঠানো হচ্ছে। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “জেলার তিনটি স্বসহায়ক দল ইট তৈরির প্রশিক্ষণ নিতে হায়দরাবাদে যাচ্ছে। ফিরে এসে দলগুলো ইট তৈরির প্রকল্পের কাজ শুরু করবে। এতে দলগুলো আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হবে।”

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রচুর স্ব-সহায়ক দল রয়েছে। দলগুলো নানা রকম কাজকর্ম করে। তবে ইট তৈরির পরিকল্পনা এই প্রথম। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, গত বছর হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) সুশান্ত চক্রবর্তী। তিনি এনআইআরডি- র (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ রুরাল ডেভেলপমেন্ট) ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি। তখনই ইট তৈরির ব্যাপারটি তাঁর চোখে পড়ে। সাবেক ইট তৈরিতে যে মাটি ব্যবহৃত হয় তা মূল্যবান। তবে পরিবেশ সহায়ক ওই ইট তৈরিতে যে মাটি ব্যবহৃত হয়, তা মূল্যবান নয়, কৃষিকাজেও ব্যবহৃত হয় না। হায়দরাবাদ থেকে ফিরে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন সুশান্তবাবু। জেলাশাসক এই প্রকল্প নিয়ে এগোনোর সঙ্কেত দেন।

জেলার যে তিনটি স্ব-সহায়ক দল হায়দরাবাদে যাচ্ছে, তার মধ্যে গড়বেতা-১ ব্লকের দল দু’টি— জয়গুরু মহিলা স্বসহায়ক দল এবং স্বয়ংসিদ্ধা মহিলা স্বসহায়ক দল। আর তৃতীয় দলটি শালবনির, প্রাণকৃষ্ণ স্বসহায়ক দল। এই তিন দলের সদস্যরা প্রশিক্ষণ নিয়ে রীতিমতো উৎসাহী। শালবনির দলটির সভানেত্রী অঞ্জু বিশ্বাস বলেন, “ইট তৈরির প্রকল্প চালু করতে পারলে আয় ভালই হবে। আশা করি, সব কিছু ঠিকঠাক চললে সংসার চালানোর ভাবনা আর থাকবে না।’’ দলের আর এক সদস্যা মিতা মিত্রের কথায়, “লড়াই যখন শুরু করেছি, তখন হাল ছাড়ার প্রশ্ন নেই।’’ কাল, শনিবারই হায়দরাবাদের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন অঞ্জুরা। সোমবার থেকে শুরু পাঁচদিনের প্রশিক্ষণ।

Advertisement

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানালেন, পরিবেশ সহায়ক এই ইট তৈরিতে তিনটি কাঁচামাল লাগবে— মাটি, বালি এবং সিমেন্ট। সাবেক ইটের থেকে এই ইট তিনগুণ বড়। তৈরি হবে মেশিনেই। যে কোনও এলাকায় এই প্রকল্প গড়ে তোলা যেতে পারে। এর জন্য বেশি জায়গারও প্রয়োজন নেই। ইটভাটা থেকে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ নতুন নয়। পরিবেশ বিধির গেরোয় বেশ কিছু ভাটা বন্ধও হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “আগামী দিনে বিকল্প কিছু করতেই হবে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে পরিবেশ সহায়ক এই ইটের চাহিদা বাড়বে। ফলে, বাজার পেতেও বিশেষ অসুবিধে হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement