Coronavirus

করোনার উপসর্গে মৃত বৃদ্ধ, শোরগোল

পরিবার সূত্রের খবর, মৃত বৃদ্ধ হাওড়ায় বিভিন্ন মিষ্টি দোকানে ঘি এবং ছানার যোগান দিতেন। লকডাউনে তিনি বাড়িতেই ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২০ ০১:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা উপসর্গ থাকা এক বৃদ্ধের মৃত্যু। তা ঘিরে শোরগোল পড়েছে হলদিয়া ব্লকের কাষ্ঠখালির বড়পোলে। পুলিশ অবশ্য অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোরে ওই এলাকার বছর বাষট্টির এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তাঁর করোনা উপসর্গ ছিল। পরিবার সূত্রের খবর, মৃত বৃদ্ধ হাওড়ায় বিভিন্ন মিষ্টি দোকানে ঘি এবং ছানার যোগান দিতেন। লকডাউনে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তবে লকডাউন শিথিল হতেই তিনি হাওড়ায় নিজের কর্মক্ষেত্রে ফিরে যান। সেখানে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। গত ২১ জুন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধ বাড়ি ফেরেন। চিকিৎসার পরেও তাঁর জ্বর কমছিল না। এ দিন ভোরে তিনি মারা যান।

পরিবারের দাবি, ওই বৃদ্ধকে স্থানীয়েরা বাড়সুন্দরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে লালারসের নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন। সেই মতো তিনি সোমবার হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসেরও নমুনা দেন। এর পরে এ দিন সকালে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়ায় যায়। করোনা উপসর্গ থাকায় বৃদ্ধের মৃতদেহ স্পর্শ করতে চাননি পরিবারের সদস্যরা। দেহকে স্পর্শ করতে হলে গ্লাভস এবং মাস্ক পরে স্পর্শ করতে হবে বলে পরামর্শ দেন স্থানীয় আশা কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত ভবানীপুর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি না সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। কারণ, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট হলদিয়ায় এসে পৌঁছয়নি। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, মৃতদেহটি হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রজু করে তদন্ত শুরু করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি শৌচালয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন। সেটিও তাঁর মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে অনুমান। পাশাপাশি, তিনি সুগার এবং হৃদরোগী ছিলেন। তাই মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা যেমন বাড়ছে, তেমনই ওই ব্যক্তির মৃত্যুতে করোনা-আতঙ্কও জাঁকিয়ে বসেছে শিল্প শহরে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মৃতের পরিবারের অন্য সদস্যদের লালারসে নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement