দিদিকে বলো, জনমন বুঝবেন যুব নেতারাও

কাদের নেতা করা হয়েছে? দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের বাছাই করা যুবকর্মীদেরই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৪২
Share:

ফাইল চিত্র।

মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম: বিধায়কেরা গিয়েছেন। যাবেন সাংসদরাও। তবে শুধু বিধায়ক সাংসদেই থেমে থাকছে না তৃণমূল। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ভার নেবেন তৃণমূল নেতারাও।

Advertisement

প্রতি ব্লক এবং শহরপিছু একজন করে নেতা বা ‘লিডার’ ঠিক করে দিয়েছে দল। তৃণমূল সূত্রের খবর, এই নেতার খোঁজার প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর সংস্থাই। নেতাদের তাঁদের ‘ভিলেজ ভিজিট কিট’ ধরানো হয়েছে। ‘লিডার’- দের বলা হয়েছে, দু’দিনের মধ্যে তাঁদের ওই কর্মসূচিতে নামতে হবে।

কাদের নেতা করা হয়েছে? দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের বাছাই করা যুবকর্মীদেরই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতায় ডেকে পাঠিয়ে এঁদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠকে ছিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সূত্রে খবর, সপ্তাহ খানেক আগে জেলার যুব নেতৃত্বের কাছ থেকে ব্লক এবং শহরপিছু একজন করে কর্মীর নাম চাওয়া হয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১টি ব্লক এবং ৭টি শহর রয়েছে। দলের নির্দেশ মতো এ জেলার যুব নেতৃত্ব বাছাই করা ২৮ জন কর্মীর নাম দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছিলেন। একই ভাবে ঝাড়গ্রাম জেলায় ৮টি ব্লকের জন্য ৮ জন এবং ঝাড়গ্রাম শহরের জন্য এক জন, মোট ৯ জনের নাম গিয়েছিল। শীর্ষ নেতৃত্ব ওই কর্মীদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের কী করণীয় তা বুঝিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের তরফে ওই কর্মীদের ‘ভিলেজ ভিজিট কিট’- এর সঙ্গে যে নথি ধরানো হয়েছে, সেই নথিতেই তাঁদের ‘লিডার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নথির প্রথম পাতার উপরে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে ‘অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি’। পরে বাংলা এবং ইংরেজিতে পরপর লেখা রয়েছে ‘দিদিকে বলো’। এরপর ক্রমে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে জেলার নাম, ব্লকের নাম, এবং সংশ্লিষ্ট ব্লকের ‘লিডার’- এর নাম। দলীয় সূত্রে খবর, ‘লিডার’- দের তিনটি করে গ্রামে যেতে হবে। ইতিমধ্যে তাঁদের দু’টি করে গ্রামের নাম নির্দিষ্ট করে জানানো হয়েছে। দলের তরফে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই আরেকটি করে গ্রামের নাম তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

‘ভিলেজ ভিজিট কিটে’ সংশ্লিষ্ট এলাকার বুথ সম্পর্কে নানা তথ্য এবং বিশ্লেষণ রয়েছে। গ্রামের পরিচয়, জনসংখ্যার বিন্যাস সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে পাঁচজন করে ‘ভিলেজ ইনফ্লুয়েন্সার’- এর নাম পরিচয়। এঁদের সঙ্গেই দেখা করতে হবে ওই যুবকর্মীদের। তাঁদের সমস্যা, অভিযোগের কথা শুনতে হবে। ‘লিডার’- দের আটদফা নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একেবারে লিখিত আকারেই। ঠিক বিধায়কদের যেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এলাকায় গিয়ে অভাব-অভিযোগ শোনা, রাত্রিবাস, থাকছে সব কর্মসূচি।

যুব তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী মানছেন, ‘‘দল যুবকর্মীদের দায়িত্ব দিয়েছে। যে সব যুবকর্মী ওই দায়িত্ব পেয়েছেন, তাঁরা কর্মসূচিতে নেমেও পড়ছেন।’’ ঝাড়গ্রাম জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা জানান, আটটি ব্লকের লিডারদের কাছে ‘ভিলেজ ভিজিট কিট’ পৌঁছেছে। জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি এবার তৃণমূল নেতাদের নামানো হল জনসংযোগে। সে ক্ষেত্রে আপাতাত যেভাবে মূল দলের পরিবর্তে যুব তৃণমূল নেতারা অগ্রাধিকার পেলেন তাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement