ঝাড়গ্রাম ব্লকের লোধাশুলিতে তৃণমূলের সভায় জমায়েত। নিজস্ব চিত্র
বুধবার ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে জেলার বিভিন্ন ব্লকে তৃণমূলের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা শক্তি প্রদর্শনে মরিয়া।
হাথরসের-কাণ্ডের প্রতিবাদ হোক বা কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা— একের পর এক কর্মসূচিতে জমায়েত কেমন হচ্ছে তা পিকে-র টিমও নজরে রাখছে বলে খবর। ফলে, করোনা বিধি শিকেয় তুলে হচ্ছে মিছিল, সভা ও বাইক র্যালিতে ভিড় জমানোর টক্কর চলছে। রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদে গোপীবল্লভপুর-১ ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে ছাতিনাশোল থেকে কেন্দুয়াবাঁধি পর্যন্ত বাইক র্যালি হয়। এই ব্লকে তৃণমূলের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি হেমন্ত ঘোষের দাবি, র্যালিতে দু’হাজার বাইক ছিল। পরে শাসড়া অঞ্চলের বিরসা চকে পথসভাতেও বড় জমায়েত হয়।
ভিড় জমানোয় নজর কেড়েছেন ঝাড়গ্রাম ব্লকের সভাপতি নরেন মাহাতো। ছত্রধর মাহাতোর অনুগামী নরেনও সদ্য ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন। এ দিন কৃষি আইন ও হাথরসের ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে লোধাশুলিতে কয়েক হাজার মানুষের মিছিল হয়। পরে লোধাশুলি চকের পথসভাও হয়েছে। জনসাধারণের কমিটির প্রাক্তন সদস্য নরেন বলছেন, ‘‘এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার নিবিড় যোগাযোগ। দলে দলে লোক তাই কর্মসূচিতে আসছেন।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মুর অবশ্য দাবি, সভা-মিছিলে ভিড় হলেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে।