প্রতীকী ছবি।
স্বচ্ছ ধারণার অভাব। তাই কি অরাজনৈতিক ‘যুবযোদ্ধাদের’ পরিবর্তে তৃণমূলের চেনা মুখেদের ভিড় বাড়ছে! ধারনা না থাকায় টান পড়ছে পেশাদারিত্বেও! বাড়ি গিয়ে সদস্য সংগ্রহের পরিবর্তে অনেকে নাকি কাজ সারছেন ফোনেই। তৃণমূল সূত্রের খবর, ‘যুবশক্তি’র প্রস্তুতি বৈঠকে উঠে এসেছে এমনই নানা পর্যালোচনা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম শহরের একটি বেসরকারি অতিথিশালার সভাঘরে জেলার যুবশক্তির ডিসি মেম্বার ও ফিল্ড মেম্বারদের নিয়ে সাংগঠনিক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি সোহম চক্রবর্তী ও যুবশক্তির দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য নেতা নির্মাল্য চক্রবর্তী। বৈঠকে পর্যালোচনায় উঠে আসে যুবশক্তি কর্মসূচি সম্পর্কে অধিকাংশ ফিল্ড মেম্বারদের স্বচ্ছ ধারণা নেই। যার ফলে তৃণমূলের লোকজনকেই যুবযোদ্ধা হিসেবে সদস্য করানো হচ্ছে। লালগড়ের এক ফিল্ড মেম্বার ৯৩ জন সদস্য সংগ্রহ করেছেন। যাঁদের বেশিরভাগই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। সোহম ও নির্মাল্য জানান, অরাজনৈতিক যুবদের এই মঞ্চে আনলে দলে তার ফল সুদূরপ্রসারী হবে। কোনও ব্লকে ৩০০ জন সদস্য হলে তাঁদের মধ্যে কমপক্ষে একশো জনকে যুব তৃণমূলে আনার চেষ্টা করতে হবে। ওই একশো জনকে যুব তৃণমূলে নিয়ে আসা গেলে সেই ব্লকের যুব সভাপতির হাত শক্ত হবে। সংগঠন পোক্ত হবে। যুব সভাপতির হাত শক্ত হলে জেলা সভাপতিরও হাত শক্ত হবে। আখরে লাভবান হবে দলই।
সোহম ও নির্মাল্য বৈঠকে ফিল্ড মেম্বারদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘বাড়িতে বসে ফোন করে সদস্য সংগ্রহ করা হলে তা এই কর্মসূচির আদর্শের একেবারেই পরিপন্থী। এতে কর্মসূচির উদ্দেশ্য সফল হবে না।’’ সোহম ও নির্মাল্য ডিসি মেম্বার ও ফিল্ড মেম্বারদের জানান, জেলার ১০৮৫টি বুথের মধ্যে এখনো পর্যন্ত ৬৩৮টি বুথ থেকে সদস্য সংগ্রহ করা গিয়েছে। যাদের বেশির ভাগই হয় তৃণমূল, নয়তো যুব তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। ফলে বুথস্তরে সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে খামতি রাখা চলবে না। নির্মাল্য বলেন, ‘‘বিজেপিকে এই জেলায় ঠেকানোর ক্ষেত্রে যুবযোদ্ধারা বড় ভূমিকা নিতে পারবেন। এমন যুবদের সদস্য করুন, যাতে, সহজেই তাঁরা মানুষের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন।’’
পরে সোহম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এই কর্মসূচির সূচনা হয়েছিল ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে। ফলে তৃণমূলস্তরে কাজের ক্ষেত্রে যে সব কমিউনিকেশন গ্যাপ রয়েছে, সেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের কানে এসে পৌঁছচ্ছে না, সেই কারণেই জেলায় আসা। এদিন কারিগরি দিক সহ প্রতিটি বিষয়ে ডিসি মেম্বার ও ফিল্ড মেম্বারদের বোঝানো হয়েছে। এরপরে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করবেন তাঁরা। নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো যাবে।’’