অনেক স্কুলে এসে পৌঁছয়নি শিক্ষাশ্রীর আবেদনপত্র। বৃত্তি কবে মিলবে, তা নিয়ে সংশয়ে ছাত্রছাত্রীরা।
তফসিলি জাতি ও উপজাতির পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হয়। আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকার কম হতে হবে। পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের বছরে ৫০০ টাকা, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৬৫০, সপ্তম শ্রেণিতে ৭০০ ও অষ্টম শ্রেণিতে বছরে ৮০০ টাকা করে দেওয়া হয়। বৃত্তি পাওয়ার জন্য স্কুল থেকেই আবেদনপত্র পূরণ করতে হয়। যদিও এখনও স্কুলে স্কুলে আবেদনপত্র এসে না পৌঁছনোয় কবে বৃত্তি মিলবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ুয়ারা।
সমস্যা কোথায়? এ ক্ষেত্রে জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর ব্লক স্তরে বৃত্তির আবেদনপত্র পাঠান। সেই আবেদনপত্র স্কুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে ব্লক প্রশাসন। স্কুল কর্তৃপক্ষই ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করানোর ব্যবস্থা করেন। কারণ, পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই সরাসরি বৃত্তির টাকা চলে আসে। আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে তা ব্লক প্রশাসনে জমা দেবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ব্লক প্রশাসন তথ্যপঞ্জি (ডাটা বেস) তৈরি করে জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরে পাঠাবে।
পড়ুয়াদের কাছে বৃত্তির টাকা পৌঁছে দেওয়ার আগে এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতেই সময় লেগে যায়। তাহলে স্কুলে স্কুলে আবেদনপত্র পাঠাতেই এত দেরি করা হচ্ছে কেন? জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ আধিকারিক সন্দীপ টুডু বলেন, “আমরা নির্দিষ্ট সময়েই ব্লক স্তরে আবেদনপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদনপত্র জমাও দিতে বলা হয়েছে।” তাহলে কেন অনেক স্কুলে এখনও আবেদনপত্র পৌঁছয়নি। এরপরে বাকি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব? সন্দীপবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, বৃত্তি পাওয়া থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হন, সে জন্য অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে। তবে যাঁরা আগে পাঠাবেন তাঁদের আগে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু সব স্কুল এখনও আবেদনপত্র না পৌঁছনো নিয়ে কোনও সদুত্তর মেলেনি।
শালবনির নান্দারিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শুদ্ধদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই সময় তো আবেদনপত্র এসে যাওয়ার কথা। কিন্তু আমরা এখনও তা পাইনি। তাড়াতাড়ি আবেদনপত্র পেলে ছাত্রছাত্রীরাও দ্রুত টাকা পেতে পারে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের কারণে অপেক্ষা করতে গিয়ে কিছুটা দেরি হয়ে থাকতে পারে। এ বার দ্রুত গতিতে কাজ সম্পন্ন করার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।