পশুপতির (মুখে সাদা মাস্ক) পাশে ছত্রধর। নিজস্ব চিত্র।
প্রথমে মঞ্চে পাশাপাশি বসে, পরে কুড়মি সংগঠনের নেতার বাড়িতে একান্তে কথা। বাঁদনা পরবের অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতোর সঙ্গে বিজেপি নেতা পশুপতি দেবসিংহের কথোপকথন জল্পনা বাড়িয়েছে জঙ্গলমহলে।
দুই নেতার একান্তে কী কথা হল, তা নিয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে দুই দলই। পশুপতি এখন বিজেপির ওবিসি মোর্চার জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা শালবনি বিধানসভা কেন্দ্রের দলের পক্ষ থেকে সামাজিক সম্পর্ক রাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। কুড়মি সংগঠনের মঞ্চে পাশাপাশি বসে দুই দলের দুই নেতা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠান শেষে পাটাশোলেই কুড়মি সংগঠনের এক নেতার বাড়িতে যান ছত্রধর ও পশুপতি। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা একান্তে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলেন তাঁরা। দু’দফায় দুই শিবিরের দুই নেতার একান্তে কথার পর কুড়মি নেতাদের মধ্যে ফিসফিসানি শুরু হয়।
গত কয়েক বছর ধরেই জঙ্গলমহলে কুড়মিদের ক্ষোভ দানা বাঁধছে। কখনও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে, কখনও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে বিক্ষোভ দেখিয়ে কুড়মি সংগঠনগুলি নিজেদের দাবি আদায়ে সক্রিয় হয়েছে। সেই দাবি আদায়েই তারা আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করবে ঝাড়গ্রামে। এই প্রেক্ষিতে কুড়মি সংগঠনের উৎসবে এসে তৃণমূল ও বিজেপি নেতার একান্তে কথা খুবই ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কী কথা হল নিজেদের মধ্যে? বিজেপি নেতা পশুপতি বলেন, ‘‘কুড়মিদের নানা দাবিদাওয়া নিয়েই আলোচনা করেছি। ছত্রধর একটি দলের নেতা, আমি আর এক দলের। দুটো দলের পক্ষ থেকেই যাতে তাঁদের দাবিদাওয়া আদায়ে তৎপরতা দেখানো যায় তা নিয়েই কথা হয়েছে।’’ আর ছত্রধর মাহাতো বলেন, ‘‘কুড়মিদের দাবিদাওয়া নিয়েই মূলত কথা হয়েছে আমাদের।’’
বুধবারের অনুষ্ঠানের আয়োজক কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের রাজ্য নেতা চিন্ময় মাহাতো বলেন, ‘‘কী আলোচনা হয়েছে জানি না। তবে আমরা বলেছি, রাজনীতির থেকে সমাজ বড়। আগে জাতি পরে দল।’’ কুড়মি সেনার জেলা সভাপতি উজ্জ্বল মাহাতোও বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে আমাদের দাবিগুলি নিয়েই কথা হয়েছে।’’