উপকূলবর্তী গ্রামে গ্রামে প্রচার এনডিআরএফ জওয়ানদের। —নিজস্ব চিত্র।
ইয়াস-এর মোকাবিলায় সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছে রাজ্য। পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী গ্রামগুলিতে ঘুরে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ২ কোম্পানি এনডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে জেলায়। খুব তাড়াতাড়ি আনা হবে আরও ২ কোম্পানি।
সেকেন্ড এনডিআরএফ-এর ইনস্পেক্টর রাজকুমার শীল দাবি করেছেন, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে দিঘার উপকুল এলাকার গ্রামগুলিতে চষে বেড়াচ্ছেন জওয়ানরা। গ্রামবাসীদের বোঝানো হচ্ছে, তাঁরা যেন ঝড়ের আগেই কাঁচা বাড়ি ছেড়ে সরকারি আশ্রয়স্থলে চলে যান। ময়দানে নেমেছেন রাজকুমার নিজেও।
গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করে রাজকুমার বলেন, ‘‘আপনারা দুশ্চিন্তা করবেন না। ঝড়ের মধ্যে কেউ আটকে পড়লে আমরা সর্বশক্তি নিয়ে আপনাদের সাহায্য করব। বিপর্যয় ঘটার আগেই আমরা আপনাদের সুরক্ষিত স্থানে আমরা পৌঁছে দেব।’’ গ্রামবাসীদের উদ্দেশে একাধিক সতর্ক বার্তাও জারি করা হয়েছে। তাঁদের এই সময়ের মধ্যে মাছ ধরতে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
সমুদ্র বাঁধের কাজ খতিয়ে দেখছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি। নিজস্ব চিত্র।
শনিবার প্রশাসনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে দিঘায় হাজির হন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। দিঘা-ওড়িশা সীমানার পদিমা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। জেলাশাসক বলেন, ‘‘আজ রামনগর, কাঁথি এবং খেজুরির বিভিন্ন এলাকার পরিদর্শন করছি। যে সব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হতে পারে সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের কোথায় সরানো হবে, কোথায় রাখা হবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা স্থানীয় হাসপাতালগুলিও ঘুরে দেখছি। বিপর্যয়ের পর যদি বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে সে সময় বিকল্প কী ব্যবস্থা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমুদ্রের বাঁধ নির্মাণের কাজও খতিয়ে দেখছি। কাদের, কোথায় কী ভাবে নিয়ে যাওয়া হবে তার পরিকল্পনা আজ রাতের মধ্যে সারা হয়ে যাবে। কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাঁদের সেফ হোমে রাখার যথোপযুক্ত ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’’