—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP
রাজ্যের বাধায় দেরি হচ্ছে 'জগদীশপুর-হলদিয়া-বোকারো-ধামরা' প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপ লাইন (জেএইচবিবিপিএল) তৈরির কাজে। শুক্রবার আরামবাগে বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০২৩ সালে ৩ হাজার ৫৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই পাইপ লাইন পাতার কাজ শুরু হয়। ১৮ হাজার কোটি টাকা এর জন্য বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজে সহযোগিতার পরিবর্তে রাজ্যের তরফে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে খোদ প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করলেন। এ দিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তুত। কিন্তু রাজ্যের বাধায় কাজ এগোচ্ছে না। কাজের গতি অসম্ভব শ্লথ।’’ স্বাভাবিক ভাবেই তাতে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কে জটিলতা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক কর্মসূচির আগে এ দিন ‘ভার্চুয়ালি’ আরামবাগ থেকে হলদিয়া বন্দর ও ইন্ডিয়ান অয়েল সংস্থার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে হলদিয়া বন্দরের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক ক্রেনও ছিল। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন কর্মসূচির সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থাও ছিল প্রকল্পের এলাকায়।
হলদিয়ার কসবেড়িয়ায় ইন্ডিয়াল অয়েলের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল এবং হলদিয়া রিফাইনারি হেড এন্ড ইডি অতনু সান্যাল। প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধন করার পরে মঞ্চে অতিথিরা কেক কাটেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে রাজ্যের বিরুদ্ধে উন্নয়নের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলাটা নির্বাচন-রাজনীতির অঙ্গ। যদিও তৃণমূলের দাবি, রাজ্য সরকারের তরফে একাধিকবার দিল্লি গিয়ে আন্দোলন করা হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকার ব্যাপারে। সে ব্যাপারে কান দেয়নি বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। জ্বালানি তেল সহ রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে। দেশের বড়লোকদের হাতে রেল, ভেল-সহ একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সে সব দোষ ঢাকতে বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে।
তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক শিবনাথ সরকার বলেন,"মোদী সরকার যে ভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো দেশটাকে বিক্রি করে দেবে। নিজেদের দোষ ঢাকতে রাজ্য সরকারের উপর দোষ দিচ্ছে।’’ এ দিন অনুষ্ঠানের পর দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমি একাধিক বার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হলদিয়া বন্দরের নামকরণ সতীশ চন্দ্র সামন্তের নামে করার জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু বন্দর আধিকারিকদের একাংশের বাধায় তা করা যাচ্ছে না।’’