ঝড়ে ভেঙে পড়েছে গাছ।
সাগরে গভীর নিম্নচাপের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নন্দীগ্রামের একাধিক এলাকা বিদ্যুৎহীন। সাবমার্সিবল পাম্প না চলায় পানীয় জলের সঙ্কটে স্থানীয়রা।
শুক্রবার রাত থেকে প্রবল নিম্নচাপের জেরে ঝড় ও সেই সঙ্গে বৃষ্টিতে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ জায়গাতেই বিদ্যুতের লাইনের উপরে গাছ পড়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই সঙ্গে একাধিক গাছ ভেঙে পড়ায় চিন্তায় বন দফতরের আধিকারিকরা। বিদ্যুৎ না থাকায় নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের একাধিক গ্রামে সাবমার্সিবল পাম্প চালানো সম্ভব হয়নি। ফলে পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ বাসিন্দাকেই কেনা জলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। হোসেনপুরের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘‘শুক্রবার দিনভর প্রাকৃতিক দুর্যোগে যথেষ্ট সমস্যা হয়েছে। তার ওপর সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ নেই। সাবমার্সিবল থেকে পানীয় জল তোলা সম্ভব হয়নি। শনিবার সারাদিন কেনা জলের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে।’’
শুক্রবার রাতে ঝড়-বৃষ্টিতে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে। কেন্দামারি, কালীচরণপুর, সোনাচূড়া প্রভৃতি এলাকায় রাস্তার উপর গাছ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
হলদিয়ার মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঝড়ের ফলে নন্দীগ্রাম ১ ও ২ ব্লকে একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় সমস্যা হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ দফতরকে জানানো হয়েছে। তাদের কর্মী ও আধিকারিকরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছেন।’’