(বাঁ দিকে) মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিকের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বরখাস্ত করা হল সন্দীপ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছাত্রনেতা বলে পরিচিত মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিককে। জরুরি ভিত্তিতে তাঁর ‘হাউসস্টাফশিপ’ বাতিল করলেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরে খুশি আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। তাঁরা ওই দাবিকে সামনে রেখেই টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
সোমবার বিকেল থেকেও আবার আন্দোলনে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি নন্দী জানান, মঙ্গলবার সকালে এ নিয়ে নোটিস জারি করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘আজ আমরা মিটিং করলাম। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে নেওয়া হল। ও (মুস্তাফিজুর) আর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঢুকতে পারবে না।’’
গত বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশিকা জারি করে মুস্তাফিজুরের উপর নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছিলেন। সেই নির্দেশিকায় ডিনের সইও ছিল। কিন্তু ২২ ঘণ্টার মধ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হল কেন, সেই প্রশ্ন সামনে রেখে শনিবার দুপুর ২টো থেকে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল হাসপাতালের ডিন এবং সুপারকে। তার পর থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
সোমবারই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারই হন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ। গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নানা মহলে। অন্য দিকে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আর ঢুকতে পারবেন না এসএসকেএম হাসপাতালের পিজিটি অভীক দে। তাঁকে সোমবারই সংগঠন থেকেও বরখাস্ত করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। রাতে টিএমসিপির তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, যত দিন পর্যন্ত ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত বরখাস্তই থাকবেন অভীক।