মুকুলের সঙ্গে সভায় দেব। —নিজস্ব চিত্র।
কিছুদিন আগেই ই়ঞ্চিতে ইঞ্চিতে মেপে নেওয়ার কথা বলেছিলেন তৃণমূলের উপর মহলের নেতৃত্ব। বাদ ছিলেন না খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভোটের পর বিরোধীদের মেপে নেওয়ার বার্তা তিনিও সরাসরি দিয়েছিলেন সভা থেকে। বাদ পড়েননি সরকারি আধিকারিকরাও। দলীয় নেতাকর্মীদের সন্তর্পনে বলে রেখেছিলেন, দেখে রাখতে কারা দল বিরোধী পদক্ষেপ করছেন।
কিন্তু প্রথম দফা ভোটের পরই সেই অবস্থান বদলেছেন মমতা। পর পর দু’তিনটি সভায় সুর নরম করে মা-মাটি-মানুষের ‘আশীর্বাদ’ ভিক্ষা করেছেন। স্বভাব বিরুদ্ধ ভঙ্গিতে ‘ভুলে’র ক্ষমাও চেয়েছেন। এই পরিবর্তন যে আকস্মিক নয় তা বুঝিয়ে দিলেন মুকুল রায়ও। বৃহস্পতিবার দাঁতনের এক জনসভায় দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির কটাক্ষেও ধরা পড়ল সেই নমনীয়তা। কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন “এ বারও আমরা ক্ষমতায় ফিরবো। বিরোধীরা দুধে ভাতে থাক, আনন্দে থাক। তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে আপনাদেরই।”
৩ এপ্রিল দাঁতনের ওই একই মাঠে দলীয় প্রার্থী বিরাম মান্ডির সমর্থনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরবেন দাবি করে বলেছিলেন, “নতুন সরকারে তৃণমূল বিরোধী দলের ভূমিকা নেবে। আমি আপনাদের বলছি, তাঁদের গায়ে যেন একটি আঁচড়ও না লাগে। নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের।” এ দিন মুকুলবাবু দাবি করেন, ৪ এপ্রিল জঙ্গলমহলের যে ১৮ টি আসনে ভোট হয়েছে, মমতার পক্ষে রায় দিয়েছেন মানুষ। কেশিয়াড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পরেশ মুর্মুর সমর্থনে সরাইবাজারের ওই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন, দলের দুই তারকা সাংসদ দেব ও সন্ধ্যা রায়। দেবকে দেখে মানুষের উচ্ছ্বাসই বুঝিয়ে দিয়েছে এ দিনের সভায় হাজার পচিশের জমায়েতটা আসল কেন! এ দিন চন্দ্রকোনার শ্রীনঘর স্কুল মাঠের সভাতেও হাজির ছিলেন মুকুল রায় ও দেব।